বর্তমান পাটকল দিয়ে লাভ করা সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: জুলাই ০৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান পাট কারখানাগুলো সবচেয়ে পুরনো। সেই পঞ্চাশ-ষাটের দশকে তৈরি। এই শিল্পগুলো দিয়ে আসলে লাভ করা সম্ভব নয়। পাটের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। সেই জন্য আমরা চাচ্ছি এটাকে নতুনভাবে তৈরি করা।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটকলের শ্রমিকদের আমরা মোবাইলের মাধ্যমে বেতন দিয়ে দিলাম। ২৫ হাজার শ্রমিকের সাথে আরো আছে অনিয়মিত শ্রমিক। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বছরের পর বছর বেতন দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এভাবে একটি শিল্প চলতে পারে না। এই কারখানাগুলো সব থেকে পুরনো। সেই পঞ্চাশ-ষাটের দশকে তৈরি। এই শিল্পগুলো দিয়ে আসলে লাভ করা সম্ভব নয়। পাটের একটা উজ্জল ভবিষ্যত রয়েছে। সেই জন্য আমরা চাচ্ছি এটাকে নতুনভাবে তৈরি করা।

তিনি বলেন, পাট আমাদের অর্থকরী ফসল। আবার কৃষিপণ্য।  আমরা পাটের জিনরহস্য আবিষ্কার করেছি। গবেষণা করে বিভিন্ন পাটজাত পণ্য আবিষ্কার করছি। পরিবেশগত কারণে সকলে সিনথেটিক থেকে মুক্তি চায়, সেখানে পাট হচ্ছে বিকল্প। ফলে বিশ্বব্যাপী এ খাতে আমাদের বিশাল সম্ভাবনা রয়ে গেছে। কিন্তু এজন্য আমাদের কারখানাগুলোকে সময়োপযোগী করতে হবে। আধুনিক করতে হবে। নতুন করতে হবে। সেজন্য আমরা পাটের শ্রমিকদের মজুরির টাকাসহ সব পাওনা একবারে শোধ করে দেবো। এজন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। 

তবে সব ক্যাশ টাকা দেয়া হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাশ টাকা দিলে মেয়ের জামাই, ভাতিজা-আত্মীয় স্বজন সকলে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। ভাগ চাইবে। এজন্য আমরা অর্ধেকটা সঞ্চয়পত্র করে দেবো। যাতে তারা এখন মাসে যে বেতন পাচ্ছেন তার থেকে বেশি পাবেন।  আর আমরা এই কারখানাগুলো নতুনভাবে করবো। এখানে শ্রমিকদের মধ্যে আগ্রহীদের আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আধুনিক প্রযুক্তি অনুযায়ী তাদের তৈরি করবো। পাটকল চালু হলে তারা নতুনভাবে চাকরি পারে। এতে পাট ও পাটজাত পণ্যের বিশ্ব বাজার ধরতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫