ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যাধি গোয়েন্দাদের লড়াই

প্রকাশ: জুলাই ০৮, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

রোগ বা ব্যাধি গোয়েন্দারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে মহামারীর অবসান করতে তাদের প্রচেষ্টা কতটুকু ভূমিকা রাখছে? রকমই এক গোয়েন্দা যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার সাভানার জনস্বাস্থ্য পরিচালক ক্রিস্টিনা পাসা গিবসন।

তিনি তার সহকর্মীরা সাভানা সারা দেশের অন্যান্য শহরে সংক্রমণের পথটি খুঁজে পেতে এবং আক্রান্তদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন, তারা যাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন তাদের নাম জিজ্ঞাসা করেন এবং সেই ব্যক্তিদের খুঁজে বের করেন এবং অন্যকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে আলাদা থাকতে বলেন।

মহামারী শুরুর দিকের বর্ণনা দিয়ে গিবসন বলেন, মহামারী শুরুর পর থেকেই আমার জীবনযাপন সব উল্টে গেছে। আমি মূলত অফিসেই থাকতাম। আমার মনে হয়েছিল আমি ভেগাস ক্যাসিনোতে এসেছি। পরিস্থিতি এমন যে কখন সকাল কখন রাত হচ্ছে, দিন-তারিখ কী বা আমি কে ছিলাম সেটাও আমি ভুলে গেছি।

সম্প্রতি তিনি এমন একজনের ফোন কল পেয়েছিলেন, যিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। গিবসন বলেন, ফোন করে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন আমি কি মারা যাব? আমি তাকে নির্দিষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারিনি। মানুষ যখন ভয় পায় তখন কথা বলা কঠিন। তার ওপর তার সঙ্গে কথা বলে তার সংস্পর্শে আসা মানুষদের খুঁজে বের করতে হবে।

রোগ গোয়েন্দারা তাদের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তার পরও মহামারীর ভবিষ্যৎ রোগের গতিপথ স্পষ্ট নয়। তাদের সতর্ক করে দেয়ার কারণে কেউ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারলে সেটা তাদের কাছে যুদ্ধজয়ের মতোই বিজয় হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিবিসি


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫