চলতি বছর সব মিলিয়ে আট কোটি টনের মতো সয়াবিন রফতানি প্রত্যাশা করছে ব্রাজিল, যা দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানির রেকর্ড হতে পারে।
মূলত ডলারের তুলনায় রিয়ালের (ব্রাজিলীয় মুদ্রা) দুর্বল বিনিময় হার ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের শীতল সম্পর্ক পণ্যটি রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ব্রাজিলকে এগিয়ে রাখতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
খবর আরগুস মিডিয়া ও সাকসেসফুল ফার্মিং।
ব্র্রাজিলের তেলবীজ ক্র্যাশার অ্যাসোসিয়েশন আবিয়ভের সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২০ সালজুড়ে ব্রাজিল থেকে মোট ৭ কোটি ৯৫ লাখ টন সয়াবিন আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হতে পারে, আগের মাসের প্রাক্কলনের তুলনায় যা ১৫ লাখ টন বেশি।
গত বছর প্রায় সাড়ে আট কোটি টন সয়াবিন রফতানি করে রেকর্ড করেছিল দেশটি।
মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের জেরে পণ্যটি আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে ব্রাজিলের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল ব্রাজিল, যা পণ্যটির রফতানি বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সয়াবিন রফতানি থেকে ব্রাজিল ২ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার আয় করতে পারে।
ব্রাজিলের সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ থেকে দেশটির সয়াবিন রফতানিতে ধারাবাহিক চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে।
এর মধ্যে এপ্রিলে রেকর্ড ১ কোটি ৬৩ লাখ টন সয়াবিন রফতানি করেছে দেশটি।
গত মাসে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৩৮ লাখ টন সয়াবিন রফতানি হয়েছে।
গত বছরের একই মাসে পণ্যটি রফতানির পরিমাণ ছিল ৯০ লাখ টন।
সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটি ছয় কোটি টনের বেশি সয়াবিন রফতানি করেছে।