নভেল করোনাভাইরাসে গোটা
বিশ্বই কয়েক
মাস ধরে
কার্যত অচল
হয়ে আছে। অনেক
দেশ এখন
লকডাউন শিথিল
করার দিকে
এগোচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও
সবকিছু পুনরায়
খুলে দেয়ার
পরিকল্পনা করছে। কিন্তু
এ অঞ্চলের
অবস্থা দিন
দিন আরো
অবনতির দিকে। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা
জানাল, মধ্যপ্রাচ্য
বেশ সংকটময়
সময়ের মুখোমুখি।
মরক্কো থেকে শুরু
করে পাকিস্তান
পর্যন্ত পশ্চিম
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের
২২টি দেশে
বুধবার পর্যন্ত
১০ লাখেরও
বেশি কভিড-১৯ রোগী
শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার
মধ্যপ্রাচ্য প্রধান
আহমেদ আল-মানধারি এক
অনলাইন সংবাদ
সম্মেলনে বলেন,
‘এই
অঞ্চলে আমরা
এক সংকটময়
সীমার মধ্যে
আছি।’
আশঙ্কাজনক হলেও সত্য,
এ অঞ্চলের
২২ দেশে
যত মানুষের
মৃত্যু হয়েছে
তার ৮০
ভাগই পাঁচটি
দেশের: মিসর,
ইরাক, ইরান,
সৌদি আরব
ও পাকিস্তান।
আল-মানধারি বলেন,
এটা ‘উদ্বেগজনক মাইলফলক’। তার কথায়,
‘জুন
মাসে যত
কভিড-১৯
পজিটিভ মানুষ
শনাক্ত হয়েছে
তা আগের
চার মাসের
চেয়েও বেশি।’
এ অঞ্চলে
২৯ জানুয়ারি
প্রথম রোগী
পাওয়া যায়।
আল-মানধারি বলছেন,
পরীক্ষার পরিমাণ
বাড়িয়ে দেয়ার
কারণেই এ
অঞ্চলে রোগ
শনাক্তও বেড়েছে। যদিও
লকডাউন শিথিল
করা শুরু
হয়েছে বলে
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে
লড়াইটা গতি
পাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ
যেহেতু লকডাউন
শিথিল করে
দিয়েছে তাই
আল-মানধারি
ব্যক্তি পর্যায়ে
সবাইকে ‘সাবধান ও
সজাগ’
থাকার আহ্বান
জানান, পাশাপাশি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে
চলার আহ্বানও
জানান।
আল-মানধারির কথায়,
‘লকডাউন
শিথিল করার
মানে এই
নয় যে
ভাইরাসের বিরুদ্ধে
লড়াই কিংবা
সামাজিক দায়দায়িত্ব
কমে যাবে।’
মহামারীর সময়
বৈশ্বিক সংহতির
আহ্বান জানিয়ে
আল-মানধারি
বলেছেন, প্রত্যেক
দেশ যেন
তার স্বাস্থ্য
খাতকে শক্তিশালী
করে।
আল-জাজিরা