কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যাংক হিসাব জব্দের অনুরোধ বিএসইসির

প্রকাশ: জুন ২৬, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পাওনা অর্থ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন সিকিউরিটিজ হাউজটির বিনিয়োগকারীরা। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের কোনো হদিস না পেয়ে এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে পল্টন থানায় জিডি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্স‌চেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ডিএসইর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ও এর পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কভিড-১৯ এর কারণে এমনিতেই প্রাণহীন অবস্থায় চলছে পুঁজিবাজার। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের পাওনা অর্থ বকেয়া রেখে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে। গতকাল সারাদিনই এ বিষয়ে বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তারদের মধ্যে দফায় আলোচনা হয়েছে। ব্রোকারেজটির পরিচালকেরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানো হয়েছে। 

ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বেশ কয়েকজন গতকাল রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদউল্লাহসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

সিকিউরিটিজটির কয়েকজন বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার থেকেই হাউজটি বন্ধের বিষয়টি জানতে পারেন তারা। বুধবার অফিসে গিয়ে তারা তালা ঝুলতে দেখেন। এসময় তাার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাননি। এমনকি তারা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান।

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে ডিএসইকে দেয়া চেক ডিজঅনার হয়ে যায়। তখন ডিএসইর পক্ষ থেকে ব্রোকারেজ হাউজটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায় নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই শেয়ারগুলো বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করে। হাউজটির বিনিয়োগকারীদের পাওনার বিপরীতে দেয়া চেকও ডিজঅনার হয়েছে। এরইমমধ্যে ডিএসইর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটিার ডিপি স্থগিত রাখতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের গ্রাহক হিসাব দীর্ঘদিন ধরেই ঋণাত্মক। প্রতিষ্ঠানটির এমডি মো. শহীদউল্লাহর কানাডার নাগরিকত্ব রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের পর তিনি কানাডায় চলে গেছেন। ঢাকার পুরানা পল্টন ও জনসন রোডে দুইটি এক্স‌টেনশন কার্যালয়সহ প্রগতি সরনী, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের শাখা রয়েছে।



সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫