করোনা মহামারীতে কর্মহীন অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘চেইঞ্জ (ক্রিয়েটিং হোপ অ্যান্ড অ্যাবিলিটি ফর নেভিগেটিং গ্রোথ অ্যান্ড ইমপাওয়ারমেন্ট) নামে একটি সংস্থা। সংস্থাটির উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তারা বলছে, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। এদের অনেকেই এখন প্রতিদিন ঠিকমতো তিনবেলা খাবারের সংস্থান করতে পারছেন না। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় সামর্থ অনুযায়ী এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারা।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, চেইঞ্জ গত ৫ জুন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দম্পতি জামিউল ইসলাম মারুফ এবং ফারিয়া ফারিয়ালের উদ্যোগের সাথে অংশীদার হয়ে রাজধানীর পান্থপথ এলাকার গ্রিন রোড মোড়ে এক সপ্তাহ জুড়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও গেল সপ্তাহে সমাজসেবক নাদিয়া সরকারের সহযোগিতায় গুলশানে, ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে একই ধরনের উদ্যোগ চলছে। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই প্রতিদিনের খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সংস্থাটির সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, চেইঞ্জ মূলত শিক্ষা, দক্ষতা বিকাশ এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে। কভিড-১৯ মহামারী এই সংস্থাটিকে মানবিক সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করেছে। চেইঞ্জ সবসময়ই সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ভাগ্যাহত অবস্থার পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে আসা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অলী মাহমুদ বলেন, ‘চেইঞ্জ এর উদ্দেশ্য দরিদ্রদের খাবার বিতরণ নয়, বরং আমরা এটিকে অন্যদের সাথে আমাদের সামর্থ্য ভাগ করে নেওয়ার মতো করে দেখি। কারণ আমরা স্থানীয় সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবক এবং কর্মজীবী অংশীজন সকলে একত্রিত হয়ে আমাদের সক্ষমতা ভাগ করে নেওয়ায় বিশ্বাস করি।’
সংগঠনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানিয়ে সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আরো সহযোগী ও অংশীজনদের সাথে কাজ করতে চাই যাতে আমরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এমনকি ঢাকার বাইরের অসহায় মানুষের পাশেও দাড়াতে পারি। আমরা সমাজের ক্ষমতায়নের জন্য উদ্ভাবিত কর্মসূচিতে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলির সাথে কাজ করতে চাই।’