ট্র্যাকিং ডিভাইসের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরবাসীর প্রতিবাদ

প্রকাশ: জুন ০৯, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই অনেক দেশ অর্থনীতি খুলে দেয়া শুরু করেছে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের মাধ্যমে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ট্রেসিং অ্যাপ ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে না বলে ট্র্যাকিং ডিভাইস নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সিঙ্গাপুরের সংসদে। ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে অনলাইনে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।

ট্র্যাকিং অ্যাপটি আশানুরূপ কাজ না করায় গত শুক্রবার দেশটির সংসদে ট্র্যাকিং ডিভাইসের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এমন ডিভাইসের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও ঘটনা একটি অনলাইন পিটিশনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সপ্তাহ শেষে প্রায় ৩০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছিল।

অনলাইন আবেদনে বলা হয়েছে, আমরা মুক্ত, স্বাধীন এবং সিঙ্গাপুরের নাগরিক। ডিভাইসটির প্রয়োগকে আমাদের গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত স্থান চলাফেরার স্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করি।

সিঙ্গাপুর কভিড-১৯-এর কারণে অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। দেশটিতে ৩৭ হাজারের বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। শহরের বিদেশী কর্মীদের ডরমেটরিগুলোয় সবেচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটে, তবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাও খুব কঠিন।

অন্যরাও পরিধেয় ডিভাইসগুলোর সম্ভাব্য প্রয়োগ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বালাকৃষ্ণনানের ফেসবুক পেজে সরকারকে পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফ্রান্সিস নামে এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার কি এমন প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পারে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বাধা দেবে না? আমরা কি উচ্চ নজরদারির একটি কারাগারে আছি? আমরা কি অনুপ্রবেশকারী? এটা বন্দি বা অপরাধীদের জন্য একটি বৈদ্যুতিক ট্যাগের মতো।

বিবিসি


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫