আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে কভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ জন, আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৪৫। শনাক্তের পাশাপাশি কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ৪০ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয় ১১ হাজার ৪৩৯টি। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ২ হাজার ৩৮১টি নমুনা। সব মিলিয়ে দেশে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫৩৪। এর মধ্যে ১০ হাজার ৫৯৭ জন সুস্থ হয়েছেন। ৮১৬ জন সুস্থ হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
নতুন করে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ১৯ জন পুরুষ, তিনজন নারী। এই ২২ জনের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া সাতজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, চারজন ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, আটজন ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের, আটজন চট্টগ্রামের, একজন বরিশালের এবং দুজন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭২।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশ এরই মধ্যে উঠে এসেছে ২১ নম্বরে। দেশে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বাংলাদেশ এই তালিকায় আরো ওপরে উঠবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। যে চীন থেকে করোনাভাইরাসের উত্পত্তি, সেই দেশটি বৈশ্বিক সংক্রমণের তালিকায় আছে ১৭ নম্বরে।
এশিয়া মহাদেশে সংক্রমিত রোগীর তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। আর যদি কেবল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হিসাব করা হয়, তাহলে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়। গতকাল পর্যন্ত দেশে সক্রিয় কভিড-১৯ রোগী ছিল ৩৮ হাজার ২৬৫ জন। এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের চেয়ে সক্রিয় রোগী বেশি আছে কেবল ভারত ও পাকিস্তানে। এর মধ্যে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগী আছে ৯৩ হাজার ৮৯৩ জন, পাকিস্তানে ৪৪ হাজার ৮৩৪ জন।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সক্রিয় রোগী আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৩১ হাজার ৫৫২। দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৮ জনের। ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে গতকাল পর্যন্ত ৬২ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষের। এখনো বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি।