গণপরিবহন পরিচালনায় যাত্রী, পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বর্তমানের এ ছাড় যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য মালিক, শ্রমিক, যাত্রীসাধারণ সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দায়িত্বরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে তার বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সংকট কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব। উন্নয়ন কার্যক্রম কাজ থেমে গেলে জীবনের কাজও থেমে যাবে। এজন্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নব উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জনগণের অর্থ নয়ছয় করা যাবে না, সবাইকে যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।
মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো দেশ ও জাতির এই সংকটকালে মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সরকারকে যেমন যাত্রীদের স্বার্থ দেখতে হবে, তেমনি পরিবহন খাতকেও সহযোগিতা করতে হবে। তাই দুটো বিষয়কেই সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্প অগ্রাধিকার তালিকায় আছে, সেসব প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে হবে, দেশী-বিদেশী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। শ্রমিকদের বেতন যেন যথাসময়ে দেয়া হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।