ঝালকাঠিতে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক বসতঘর

প্রকাশ: মে ২৯, ২০২০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে টর্নেডো বয়ে গেছে সদর উপজেলার কেওড়া কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে। গত বুধবার রাতে ঝড় আঘাত হানে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিক দমকা বেগে টর্নেডো বয়ে যায় কেওড়া ইউনিয়নের সারেঙ্গল, রণমতি, নৈকাঠি, আইহোর, বামনিকাঠি কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের তারপাশা গ্রামের ওপর দিয়ে। মাত্র মিনিটের ঝড়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বসতঘর, বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ঘর হারিয়ে অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। টর্নেডোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত হাফিজুর রহমান উজির বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই টর্নেডোয় আমার বসতঘর ভেঙে যায়। ঘরের টিনের চালা উড়িয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। আমরা এখন খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।

শহিদ নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, আমরা আম্পান নিয়ে ভয়ে ছিলাম। কিন্তু ওই ঘূর্ণিঝড়ে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু বুধবার রাতে দুই মিনিটের টর্নেডো সব কিছু তছনছ করে দিয়ে গেল। বাধ্য হয়ে আমাদের খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোন সাহায্যও পাইনি।

কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. উজ্জ্বল খান বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ছয় গ্রামের ওপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেছে। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আকতার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দ্রুত তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫