করোনার নতুন হটস্পট দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকায় সীমিত

প্রকাশ: মে ২৩, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্রাজিলে কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ভয়াবহ অবস্থা ইকুয়েডরেও।  গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ মহামারীর নতুন হটস্পট এখন দক্ষিণ আমেরিকা। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল মহাদেশ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করলেও মৃত্যু হার অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কম। খবর রয়টার্স। 

ডব্লিউএইচওর শীর্ষ জরুরি সেবা বিশেষজ্ঞ ডা. মাইক রায়ান বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এক অর্থে অঞ্চলটি এখন কভিড-১৯ মহামারীর নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলে প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। জরুরি এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি থাকলেও করোনায় চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগের অনুমোদ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডরের সবচেয়ে জনবহুল শহর গুয়াইয়াকিল কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরটির বাসিন্দারা শুধু যে জনাকীর্ণ হাসপাতাল মারা যাচ্ছে তা নয়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাস্তাঘাটে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মরদেহ সরিয়ে নিতেও কয়েকদিন পর্যন্ত সময় লেগে। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আফ্রিকায় কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ১ লাখ ছাড়িয়েছে। আফ্রিকায় ১৪ সপ্তাহ আগে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা এখন মহাদেশটির প্রত্যেকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকায় কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১০০। 

ডব্লিউএইচওর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক ডা. মাতিশিদিসো মোতি বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে আফ্রিকা মহাদেশের অবস্থান এশিয়ার পরেই। ঘনবসতিপূর্ণ হলেও আফ্রিকায় করোনার প্রাদুর্ভাব ছিল অনেকটা মৃদু গতিতে। যে কারণে বিশ্বের অনেক অঞ্চলে কভিড-১৯ মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও আফ্রিকা মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় অনেকটা রক্ষা পেয়েছে। 

তিনি বলেন, আফ্রিকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অনেক অঞ্চলের মতো দুর্বল হলেও দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসা সেবার পরিধি বাড়ানোয় অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তবে ঝুঁকি এখনো আছে। কারণ আফ্রিকার অর্ধেক দেশ গোষ্ঠী সংক্রমণ (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) পর্যায়ে পৌঁছেছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকার ৯টি দেশে গত সপ্তাহে করোনার বিস্তৃতি ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তবে মহাদেশটির বাকি দেশগুলোকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। আফ্রিকার জনসংখ্যার অর্ধেকেরই বয়স ১৮ বছর বা আরো কম হওয়ায় মৃত্যু হার কম। তবে আইসিইউ, মেডিক্যাল অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে কম বয়সীদের মধ্যেও অনেকে মারা গেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫