আফ্রিকানদের কেন ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নেয়া উচিত

প্রকাশ: মে ১৯, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

আফ্রিকার লোকজনের ওপর করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ট্রায়াল নিয়ে নানা রকম কথা শোনা যাচ্ছে, ছড়িয়ে পড়েছে নানা রকম ভীতিকর গল্প। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আফ্রিকানদের পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলছেন, এমন ভীতিজনক গল্প ছড়ানো বিশ্বব্যাপী কার্যকর একটি ভ্যাকসিন খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে, আর ভ্যাকসিনটি কেবল ধনী দেশগুলোর জন্য নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানম কভিড-১৯-এর প্রতিশ্রুতিমূলক চিকিৎসার সন্ধানে বিশ্বব্যাপী সংহতি ট্রায়াল ঘোষণা দিয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, যেহেতু এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির কোনো চিকিৎসা পাওয়া যায়নি, সেহেতু একটি কার্যকর ভ্যাকসিন মহামারীটি প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি ট্রায়াল শুরু হয়েছে এবং কেনিয়ায় একটি ট্রায়াল অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তবুও বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। যদিও যেকোনো ধরনের ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়।

টিউবারকিউলোসিস ভ্যাকসিনটি কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে দুজন ফরাসি চিকিৎসক ইউরোপ অস্ট্রেলিয়ায় একটি ট্রায়ালের বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। টিভি বিতর্ক চলাকালীন তারা দুজনই একমত হয়েছিলেন যে আফ্রিকায়ও এটার ট্রায়াল করা উচিত। একজন রাগান্বিত হয়ে বলেন, আফ্রিকায় কি আমাদের গবেষণা করা উচিত নয়, যেখানে মাস্ক, চিকিৎসা বা সেরে ওঠার কোনো ব্যবস্থা নেই?

আশ্চর্যজনকভাবে আফ্রিকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও আফ্রিকায় ট্রায়াল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাবেক ফুটবল তারকা দিদিয়ের দ্রগবা টুইট করেছিলেন, আফ্রিকান মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে বিবেচনা করবেন না, এটা একেবারেই ঘৃণ্য কাজ। তবে এমন ক্ষোভেরও কারণ রয়েছে। এমন প্রমাণ রয়েছে যে অনেক ওষুধ সংস্থা আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে নীতিশাস্ত্র বিবেচনা করেন না, এমনকি মানব জীবনের প্রতি সাধারণ সম্মান না জানিয়ে ট্রায়াল পরিচালনা করেন।

বিবিসি

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫