ইউক্রেনকে বলা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শস্যভাণ্ডার। আন্তর্জাতিক শস্য রফতানি বাণিজ্যে দেশটির অবস্থান বেশ দৃঢ়। ২০১৮-১৯ মৌসুমে (জুলাই-জুন) রেকর্ড শস্য রফতানি করেছিল দেশটি। তবে চলতি মৌসুমের দেড় মাসের বেশি সময় হাতে থাকতেই শস্য রফতানিতে আগের মৌসুমের রেকর্ড ছাড়িয়েছে ইউক্রেন। ২০১৯-২০ মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে শস্য রফতানি আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বেড়ে পাঁচ কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম।
ইউক্রেনের অর্থ-বাণিজ্য ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ৫ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার টন শস্য আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হয়েছে, আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় যা ১৯ শতাংশ বেশি।
এ সময় ইউক্রেন থেকে মোট রফতানি হওয়া শস্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে ভুট্টা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে মোট ২ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার টন ভুট্টা রফতানি হয়েছে। গম রফতানি হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার টন। এ সময় যব রফতানির পরিমাণ বেড়ে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।
ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় দেশটি অনেক বেশি শস্য উৎপাদন করে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করে থাকে। চলতি মৌসুমের বাকি সময়েও দেশটি থেকে শস্য রফতানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে বলে প্রত্যাশা করছে দেশটি। দেশটির সরকারি প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমের পুরোটাজুড়ে ইউক্রেন থেকে শস্যের সম্মিলিত রফতানি বেড়ে ৫ কোটি ২০ লাখ থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ টনের রেকর্ড ছুঁতে পারে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে মোট পাঁচ কোটি টন শস্য রফতানি হয়েছিল।