নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় ৩০০টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গত শনিবার রাতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
নিহতের ছেলে জানান, তার বাবার দুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও কাশি ছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার সকালে তিনি মারা যান। পরে আইইডিসিআর থেকে তার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধানে তাকে দাফন করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যবসায়ী মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় প্রায় ৩০০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছে, তাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর জন্য কাজ চলছে।
তিনি বলেন, লকডাউনে থাকা পরিবারের সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে
চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। কেউ যাতে বের হতে না পারে, সেজন্য পুলিশ মোতায়েন ও প্রবেশপথ টিন দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিষয়টি শনিবার রাতে আইইডিসিআর থেকে আমাদের জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় ৩০০ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনে থাকা কারো যদি করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কেউ জানালে আমরা গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসব।