চট্টগ্রামের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ও মাস্ক (ফেস কভার) দিয়েছে ইস্পাত নির্মাণকারী শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম। গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের হাতে কেএসআরএমের পক্ষে এসব পিপিই ও মাস্ক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
এ প্রসঙ্গে কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগকালীন সময় ছাড়াও দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকে কেএসআরএম। সেই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কেএসআরএম বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই ও মাস্ক দিয়েছে। এসব অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হস্তান্তর করা হয় প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহানের পক্ষ থেকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী কেএসঅঅরএম প্রয়োজনে আরো পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কথা হয়েছে। ওই সময় আশ্বস্ত করা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চট্টগ্রামের যেসব বস্তিতে অর্থ ও খাদ্য সংকট দেখা দেবে, সেখানে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে কেএসআরএম। পাশাপাশি নগরী ও নগরীর বাইরে কেএসএসএমের মালিকানাধীন যেসব খালি প্লট রয়েছে, সেখানে সরকার ও প্রশাসনের চাহিদা অনুসারে কোয়ারেন্টিন চালু করার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। তবে এসবের সবকিছুই করা হবে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে।
পিপিই ও মাস্ক হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, কেএসআরএম দেশের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এ অঞ্চলের যেকোনো দুর্যোগে আমরা তাদের কাছে পাই। আমরা এরই মধ্যে সির্ভিল সার্জনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। কেএসআরএমের দেয়া পিপিই চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করবে। যেসব চিকিৎসক পিপিই না থাকার কারণে চিকিৎসা দিতে ভয় পাচ্ছেন, তাদের ভয় দূর হবে। পর্যায়ক্রমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক চিকিৎসক পিপিই পরিধান করে চিকিৎসা দিতে পারবেন। এতে চিকিৎসকদের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা থাকবে না।