অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিবর্তে দুই বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। গতকাল এক বিবৃতির মাধ্যমে এ পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিবর্তে দুই বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতিতে সুনির্দিষ্টভাবে আট দফা উল্লেখ করেছেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
এর মধ্যে প্রথম দফায় বলা হয়েছে, দুই বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর দ্বিতীয় দফায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রারম্ভিক সময় দুই বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নতুনভাবে লেখা প্রয়োজন। এ পরিকল্পনার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য রফতানিমুখী শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাজারনির্ভর খাত ও এসএমই খাতে সহায়তা প্রদানের জন্য রাজস্ব উদ্দীপক (ফিসক্যাল স্টিমুলাস) প্যাকেজ ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে তৃতীয় দফায়। চতুর্থ দফায় দরিদ্র, অতিদরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বর্তমান পরিস্থিতিতে আকস্মিকভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বাণিজ্য, কর কাঠামো ও ব্যাংকিং সেক্টরে ‘রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য’
কিছু নীতি সংশোধন (পলিসি রিফর্ম) করার বিষয়টি বলা হয়েছে পঞ্চম দফায়। ষষ্ঠ দফায় আছে রাজস্ব উদ্দীপনা (সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও কর কমানো) বাস্তবায়ন এবং মুদ্রাবিষয়ক নীতিকে সহজ করার জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের উপায় বের করা।
সপ্তম দফায় কমপক্ষে তিন বছরের জন্য এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় বিলম্বিত করার তাগিদ জানিয়ে অষ্টম দফায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সময় ২০৩০-৩৫-এ নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে জোর প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সানেম।