করোনাভাইরাস আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রায় ১১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক দল তৈরি করা হয়েছে। খবর বাসস।
গতকাল করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমইএস) হাবিবুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসসংক্রান্ত পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিনই এ দলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮০২ জনে। তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন।
এরই মধ্যে যারা কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ করেছেন তাদের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ করেছেন, তাদের দেহে আর সংক্রমণ নেই। তারা আপনার-আমার মতোই একজন সাধারণ নাগরিক। তাদের সাধারণ জীবনযাপনের সুযোগ দিন।
আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস টেস্ট ল্যাব স্থাপিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকায় সাতটি ও ঢাকার বাইরে তিনটি প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাসের টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার মধ্যে তিনটি ও বাইরে তিনটি এবং ২০ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার ভেতরে চারটি ও ঢাকার বাইরে আরো ছয়টিসহ মোট ২৮টি স্থানে টেস্টিং ল্যাব স্থাপিত হবে। যেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের টেস্ট করা যাবে।
কারো সর্দি, গলা ব্যথা, কফ, কাশি বা এ-জাতীয় কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে সরাসরি হাসপাতালে না এসে স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩, ৩৩৩ নম্বর অথবা হটলাইন নম্বর ০১৯৪৪৩৩৩২২ বা ১০৬৫৫ নম্বরে ফোন করে পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, কারো মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহ হলে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনবেন।
চিকিৎসকদের প্রতি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা থেকে বিরত থাকবেন না। প্রয়োজনে পিপিই ব্যবহার করে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করবেন।
পিপিইর বিষয়ে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত পিপিই সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৭০টি পিপিই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।