করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইন্টারনেট বন্ধ কিংবা প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য না পেয়ে মহামারী আরো প্রকট হয়ে উঠতে পারে। গতকাল (৩১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
এতে বর্তমানে ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে এমন দেশের তালিকায় ইথিওপিয়া, ভারত, মিয়ানমারের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও রেখেছে এইচআরডব্লিউ। মানুষের জীবন বাঁচাতে ইন্টারনেটের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয়। ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি সেখানে সেলফোন ব্যবহারও সীমিত রাখা হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহামারীর মতো স্বাস্থ্য সংকটকালে মানুষের সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যটি পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য, চলাচলে নিষেধাজ্ঞার তথ্যসহ এ-সম্পর্কিত নানা বিষয় বর্তমানে মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেয়ে যায়। এসব তথ্য তাদের নিজেদের যেমন সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে, তেমনি তার পরিমণ্ডলের লোকজনকে নিরাপদ রাখতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে।
ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে মানুষকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে মনে করেন সিনিয়র ডিজিটাল রাইটস রিসার্চার দেবোরা ব্রাউন। তিনি বলেন, বর্তমানের বৈশ্বিক সংকটে ইন্টারনেট বন্ধ করা হলে তার নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি মানুষের ওপর পড়বে। পাশাপাশি এটি মহামারী ঠেকানোর পদক্ষেপকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। লকডাউন করে দেয়া হয়েছে আক্রান্ত জনপদ, অঞ্চল, দেশ। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষকেই ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এ সংকটে ইন্টারনেট মানুষের সবচেয়ে উপকারে আসছে বলে মনে করে এইচআরডব্লিউ। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ নিত্যপণ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ যেমন পাচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ।