ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত ৫১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
গত
রোববার শুরু হওয়া এ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৩৫ জন।
খবর রয়টার্স
পুলিশ জানিয়েছে, এখনো তারা পুড়ে যাওয়া ঘর ও ড্রেনে মরদেহ খুঁজছে।
এছাড়া শুক্রবারের জুমার নামাজের সময় মুসলমানদের নিরাপত্তা দিতে মসজিদগুলোয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
তবে গত বুধবার থেকে নতুন করে আর কোনো হামলা বা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
এ সহিংসতার সূত্রপাত হয় ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে।
গত
ডিসেম্বর থেকেই এ আইনের বিরুদ্ধে ভারতে আন্দোলন গড়ে ওঠে।
বিক্ষোভ দেখা দেয় বিভিন্ন শহরে।
সিএএ অনুসারে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে মুসলিম বাদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
এ
নিয়ে দেশটির বিভিন্ন মহল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ দানা বাঁধে।
সমালোচকরা বলছেন, আইনটি বৈষম্যমূলক।
এটি এমন সময়ে সামনে আনা হলো, যখন ভারত নিয়ন্ত্রিত মুসলিমপ্রধান জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করা হয়েছে।
ফলে সেখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ আরো সংকটের মধ্যে পড়েছে।
সমালোচকদের মতে, দিল্লির এ সহিংসতার জন্য মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্যরাই দায়ী।
তবে বিজেপি থেকে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)।