যুক্তরাজ্যে বিক্রীত নতুন মডেলের গাড়ি থেকে তুলনামূলক বেশি কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
নতুন প্রজন্মের গাড়িতে পুরনো মডেলের চেয়ে কার্বন নিঃসরণ বেশি হচ্ছে অন্তত ৭ শতাংশ।
ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গাড়ি শিল্প সামনে এগোনোর চেয়ে বরং পেছনের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খবর গার্ডিয়ান।
গবেষণা অনুযায়ী ভোক্তা সংস্থা ‘হুইচ?’
জানাচ্ছে, মানদণ্ড অনুযায়ী কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ঠিক রাখতে গাড়িতে পরিচ্ছন্ন অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এ
প্রযুক্তির ব্যবহার বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কিন্তু দিন দিন বড় ও ভারী গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণও বাড়ছে।
দেখা গেছে, সর্বশেষ প্রজন্মের গাড়ি এর আগের মডেলের গাড়ির চেয়ে কার্বন নিঃসরণ বেশি করছে ৭ শতাংশ।
২০১৭ সালের পর যুক্তরাজ্যের বাজারে আসা ২৯২টি মডেলের ওপর পরীক্ষা করে নিঃসরণের এ মাত্রা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে মোট কার্বন নিঃসরণের ১৮ শতাংশই হয় গাড়ির মাধ্যমে।
২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যতে নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ফলে পরিবেশ দূষণের লাগাম টেনে ধরার এ পদক্ষেপে গাড়ি থেকে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ভোক্তা সংস্থাটির পত্রিকার সম্পাদক লিসা বারবার বলেন, আমাদের পরীক্ষা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে যেসব নতুন মডেলের গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ তো কমছেই না, বরং বাড়ছে।
বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।
এ
অবস্থায় ভবিষ্যতের আবাসযোগ্য পৃথিবীর উপযোগী কার্বন নিঃসরণমুক্ত গাড়ি নির্মাণে ম্যানুফ্যাকচারারদের তাদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
সামগ্রিকভাবে নতুন মডেলের গাড়ি প্রতি কিলোমিটারে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করছে ১৬২ দশমিক ১ গ্রাম।
এ
হিসাবে এর আগের প্রজন্মের গাড়ির চেয়ে নতুন গাড়িগুলো কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি নিঃসরণ করছে ১০ দশমিক ৫ গ্রাম।
অথচ ইউরোপজুড়ে একটি গাড়ি থেকে প্রতি কিলোমিটারে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫ গ্রাম।
এর
বেশি নিঃসরণ হলে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে।
ফলে ইউরোপজুড়ে নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিগুলো।