বার্নি স্যান্ডার্স বাংলায় লিখলেন ‘বার্নি নেভাডা জিতেছে’

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০

বণিক বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের লড়াইয়ে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স। বর্ণবৈচিত্র্যময় এই রাজ্য থেকে জিতে বাংলা, আরবি, হিন্দিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় পোস্ট করেছেন ৭৮ বছর বয়সী এই সিনেটর। এখন পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ সমর্থনে পেছনে ফেলেছেন জো বাইডেন, এলিজাবেথ ওয়ারেন প্রমুখদের।  নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে তাকেই।

বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার  ও বর্ণের মানুষের প্রতি দরদ দেখিয়ে আলোচনায় এসেছেন বার্নি স্যান্ডার্স। আজ রোববার জেতার পর বাংলা, আরবির পাশাপাশি আরো কয়েকটি ভাষায় নিজের ছবি পোস্ট করা হয়েছে তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজে একটি ছবি দেখা যায়। ছবির ওপরে বাংলায় লেখা, ‘বার্নি নেভাডা জিতেছে’। গত জানুয়ারিতে নিজের পেজ থেকে আরেকটি পোস্ট দেন বাংলায়। সেদিন লেখেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা একটি মানবাধিকার’। 

নেভাডা  জয়ের পর ভোটারদের স্বাগত জানিয়ে টুইটারে বার্নি বলেন ‘আমরা জিতেছি কারণ আমরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের উল্টোটাই করেছি। মার্কিন জনগণের মধ্যে আমরা ঐক্য ফিরিয়ে আনব।’ 

এদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জো বাইডেন বলছেন, এখনো চূড়ান্ত ফলাফল জানি না। তবে আমরা এসেছি জেতার জন্যই।

জেতার পর স্যান্ডার্স বলেন, নেভাডায় বহুজাতির মানুষকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছি। এ ঐক্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জয় এনে দেবে। তিনি তার সমর্থক ও নির্বাচনকর্মীদেরবাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ জানান। 

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপূর্বাঞ্চল প্রদেশ ভারমন্টের এই সিনেটর টেক্সাসের সান আন্তোনিওতে বিপুল সমর্থকদের মাঝে আগামী নির্বাচনে জয়ের তীব্র আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন, ট্রাম্প ও তার বন্ধুরা ভাবছে নির্বাচনে তারা জয় পাবে মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে; গায়ের রং, ধর্ম বা যৌনতার ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে পার্থক্যকে ব্যবহার করে। কিন্তু আমরা তার উল্টোটাই করেছি।’ এসময় স্ত্রী জেনকে আমেরিকার ভবিষ্যৎ ফার্স্টলেডি হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন সবার সামনে।

এর আগে বার্নি স্যান্ডার্স নিউ হ্যাম্পশায়ারে জয় পান এবং আইওয়াতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পিট বুটিজেজের তুলনায় সমর্থনে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে ধনী গরিবের পার্থক্য, উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মধ্যে আয় বৈষম্য নিয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের বক্তব্য তরুণ ডেমোক্র্যাট ভোটারদের আকর্ষণ করছে। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাঋণ ছাড়া উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলছেন বার্নি স্যান্ডার্স। আমেরিকার মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের নিত্যদিনের হতাশার অবসানের কথা বলছেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষে যে তরুণ ভোটারদের জাগরণ দেখা গিয়েছিল, বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে তার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: সিএনএন ও বার্নি স্যান্ডার্সের ফেসবুক পেজ


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫