মন খারাপ, ক্লান্ত কিংবা বিষণ্নতা অনুভব করলে আমরা মিউজিক শুনে থাকি।
এতে মন শান্ত হয়।
ভালো লাগার অনুভূতি চলে আসে।
কিন্তু মিউজিক যে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, সে বিষয়টি হয়তো সবার জানা নেই।
নতুন একটি গবেষণায় এ রকম কথাই বলা হয়েছে।
সম্প্রতি নতুন এ গবেষণায় বলা হয়েছে, হাই টেম্পো মিউজিক কাজ করার সময় মানুষকে আরো মনোযোগী করে তোলে।
কাজ আরো সহজ করে।
ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
সমীক্ষায় আরো বলা হয়েছে, মিউজিক একজন মানুষের মনের সব অস্বস্তি দূর করতে এবং ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
এর
আগে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় মিউজিকের সঙ্গে মানুষের শরীর ও মনের এক অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো সব ধরনের মিউজিক কি কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে? কোন ধরনের মিউজিক কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা বুঝতে গবেষণায় গবেষকরা ইতালির ১৯ জন নারীকে নমুনা হিসেবে নির্বাচিত করেন।
যারা প্রত্যেকেই মিউজিকের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটাহাঁটি, জগিং, বাইক চালানো, ওয়েটলিফটিংয়ের মতো কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মিউজিক ছাড়া, মৃদু মিউজিকের তালে, হাই-টেম্পো মিউজিক এবং উচ্চ বিটের মিউজিক—এ চার ধাপে নারীরা ব্যায়াম করেন।
এ
সময় তাদের হার্ট রেট এবং কোন ধরনের মিউজিকে তাদের কী ধরনের অনুভূতি হচ্ছে, গবেষকরা তা জেনে নেন।
ফলাফলে বেরিয়ে আসে, যারা হাই টেম্পো মিউজিক শুনেছেন, তাদের হার্ট রেট বেশি এবং কাজগুলো তাদের কাছে সহজ মনে হয়েছে।
এছাড়া গবেষণায় আরো বেশকিছু তথ্য উঠে আসে।
মিউজিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কাজের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেও সাহায্য করে অর্থাৎ মিউজিক মোটিভেশনের একটি অন্যতম অনুষঙ্গও বটে।
কাজের সময় মিউজিক মানুষের মুড ভালো রাখে।
এটি সেরোটোনিন লেভেল অর্থাৎ সুখকর হরমোন বৃদ্ধি করে।
যা
মানুষের মনে আনন্দের অনুভূতি এনে দেয় এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয় মিউজিক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন তথ্য মনে রাখতেও সহায়তা করে। অনেকেই আছেন অফিসে বসে কাজ করতে করতে মিউজিক শুনতে পছন্দ করেন। বিষয়টি একদমই নেতিবাচক কিছু নয়, বরং ইতিবাচক। আরো বেশকিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা শিক্ষানবিশ কাজে নতুন ঢুকেছেন এবং কোনো কাজে সে রকম দক্ষ নন, তাদের জন্য মিউজিক শোনার ফর্মুলা বেশ কাজের। তাহলে আর চিন্তা কী! নতুন যারা আছেন, তারা আজ থেকেই এ কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করুন।
এ তো গেল অফিসের কাজকর্ম।
শরীরচর্চার সময় মিউজিক শোনার বিষয়টি খুবই কমন।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ব্যায়াম করার সময় মিউজিক শোনা উপকারী।
বিশেষজ্ঞরাও আজকাল এ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বিশেষ করে, ওয়েটলিফটিংয়ের সময় কাউকে মিউজিক শুনতে নিষেধ করা উচিত নয়।
এ
সময় মিউজিক শুনলে আনন্দের সঙ্গে ওয়েটলিফটিং বা ভার উত্তোলন করা যায়।
যারা একটু অলস প্রকৃতির, বেশিক্ষণ শরীরচর্চা করতে চান না, তাদের জন্য মিউজিক অন্যতম হাতিয়ার।
সূত্র: হেলথলাইন