কিছুদিন আগে কাজুবাদাম রফতানিতে বিশ্বের শীর্ষ স্থান দখলের প্রত্যাশার কথা জানায় তানজানিয়া।
তবে এরই মধ্যে মিলেছে খারাপ খবর।
মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে দেশটির কজুবাদামের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফলে পূর্ব আফ্রিকার দেশটি সম্প্রতি ২০১৯-২০ মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদন পূর্বাভাস ২২ শতাংশ কমিয়েছে।
খবর ব্লুমবার্গ।
তানজানিয়ার কৃষিমন্ত্রী জাফেট হাসুঙ্গা জানান, গত বছরের শেষ দিকে দেশটিতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
টানা ভারি বর্ষণে দেশটিতে কাজুবাদাম উৎপাদনের প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ফলে ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন কমে ২ লাখ ২৫ হাজার টনে নেমে আসতে পারে।
এর
আগে পণ্যটির উৎপাদন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল ২ লাখ ৯০ হাজার টন।
গত বছর বিশ্বের শীর্ষ কাজুবাদাম রফতানিকারক হওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় তানজানিয়া।
দেশটি জানায়, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা।
এর
মধ্যে অন্যতম আগামী চার বছরের মধ্যে পণ্যটির উৎপাদন বাড়িয়ে বছরে ১০ লাখ টনে উন্নীত করা।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে মৌসুমের শুরুতেই লোকসানের পথ দেখছে দেশটি।
কয়েক মাস টানা খরা ভাবের পর গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এসে দেশটিতে ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
এতে দেশটিতে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়।
বন্যায় তানজানিয়ার কৃষি ও অবকাঠামো খাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ
ঘটনায় কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কাজুবাদাম রফতানিতে তানজানিয়ার শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভিয়েতনাম, ভারত ও ঘানা।
এছাড়া পণ্যটির রফতানি বাণিজ্যে আফ্রিকার আরেক দেশ আইভরি কোস্টেরও বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে।
২০১৭-১৮ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে মোট ৩৩ লাখ টন কাজুবাদাম উৎপাদন হয়েছিল।
এর
মধ্যে অর্ধেকের বেশির জোগান দিয়েছিল আফ্রিকার দেশগুলো।