চীন থেকে গত সাতদিনে সরাসরি বাংলাদেশে আসা ফ্লাইটের ২ হাজার ৬১০ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বিমানবন্দরে। এ পরীক্ষায় কারো মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। গতকাল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনাভাইরাস যাতে বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য ২০ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও চীনের মধ্যে প্রতিদিন ছয়টি ফ্লাইট যাওয়া-আসা করে। বেসরকারি দেশীয় এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা, চীনের চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস ও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে চীনে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এসব ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ যাত্রী চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন। মূলত সরাসরি ফ্লাইটে চীন থেকে আসা এসব যাত্রীকেই পর্যবেক্ষণ করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্রামক রোগ শনাক্তে সার্বক্ষণিক তিনটি থার্মাল স্ক্যানার কাজ করে। একটি ভিআইপিদের বের হওয়ার পথে, আর দুটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য উড়োজাহাজ থেকে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পথে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, চীন থেকে ঢাকায় আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের কারো মধ্যে এ ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, যাত্রীদের দুভাবে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফরমেশন কার্ডের মাধ্যমে এসব স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। সাধারণত কারো শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকলে থার্মাল স্ক্যানার সংকেত দেয়। এছাড়া তথ্যভিত্তিক স্ক্রিনিংয়ে উড়োজাহাজের আরোহীদের কার্ড দিয়ে তথ্য নেয়া হচ্ছে।