এসএ গেমসের পর
বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। হতাশা নিয়ে ফুটবলাররা যে যার ক্লাবে
ফিরেছেন, প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রিমিয়ার লিগের। লিগের মাঝেই
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের লড়াইয়ে নামবে লাল-সবুজরা। বাকি চার ম্যাচ থেকে অন্তত ৬ পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্য অধিনায়ক জামাল
ভূঁইয়ার।
‘ই’ গ্রুপে চার ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে
বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ও কাতারের সঙ্গে লড়াই করে হারা লাল-সবুজরা কলকাতায় ভারতের সঙ্গে ড্র করে। বাছাইয়ে বাকি চার ম্যাচের তিনটি ঘরের
মাঠের সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ৩১ মার্চ
দোহায় কাতারের বিপক্ষে একমাত্র অ্যাওয়ে ম্যাচ। ৪ জুন ঢাকায় ভারতকে আতিথেয়তা দেবে
বাংলাদেশ। ৯ জুন শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ওমান।
চার ম্যাচে ৬
পয়েন্টের লক্ষ্যপূরণে জামালের টার্গেট আফগানিস্তান ও ভারত। দেশ দুটির বিপক্ষে
প্রথম লেগের নৈপুণ্য বিশ্লেষণ করলে আশাবাদী হতে পারে লাল-সবুজরা। কিন্তু বাছাইয়ের পর এসএ গেমস ও বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের নৈপুণ্য কিন্তু
আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। তার পরও আশাবাদী জামাল ভূঁইয়া, ‘বাছাইয়ে বাকি চার ম্যাচে আমার লক্ষ্য অন্তত ৬ পয়েন্ট অর্জন
করা। চার ম্যাচের তিনটি খেলব ঘরের মাঠে। সেখানে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই
লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।’ বাছাইয়ে ইনজুরির কারণে ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ ও মাশুক মিয়া জনির সার্ভিস
পায়নি বাংলাদেশ।
ইনজুরি কাটিয়ে
তপু বর্মণ বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ঘরোয়া ফুটবলে ভালোভাবেই ফিরেছেন। ফিরেছেন জাতীয়
দলেও। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের দুই গ্রুপ ম্যাচ খেলেছেন এ সেন্টারব্যাক। বাছাই
ম্যাচের আগেই জাতীয় দলে ফেরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবেন মিডফিল্ডার আতিকুর
রহমান ফাহাদ। আরেক মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনির ফিরতে অবশ্য সময় লাগবে।
এ তিনজনই
বর্তমানে খেলছেন বসুন্ধরা কিংসে। ইনজুরির কারণে তিনজনকেই যেতে হয়েছে সার্জনের
কাঁচির নিচে। নিজের ফেরার বিষয়ে মাশুক মিয়া জনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পুরোপুরি সেরে উঠতে এখনো মাস দুয়েক সময় লাগবে। মাঠে ফেরার
মতো অবস্থায় আসতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।’ ঘরোয়া শীর্ষ ফুটবলে আত্মপ্রকাশের প্রথম মৌসুমেই
বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার যোগ
করেন, ‘ফিটনেস ধরে রাখতে হালকা রানিং ও স্ট্রেচিং করে
যাচ্ছি। অবস্থার উন্নতি ঘটলে পুরোদমে অনুশীলনে ফিরতে পারব।’
বাকি চার ম্যাচ
থেকে ৬ পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে পরবর্তী পর্বে যাবে।
সেখানে এশিয়ার প্রতিষ্ঠিত দেশগুলোর বিপক্ষে আরো কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে।
কিন্তু লক্ষ্য অর্জন করতে হলে নিকট অতীতের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে পরিণত ফুটবল খেলতে
হবে। এজন্য দলটা এক সুতোয় গাঁথাটাই জেমি ডের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।