এক পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে জাপানের পুলিশ। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ চিঠি ও অন্যান্য প্যাকেট প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছে না দিয়ে ঘরে জমিয়ে রেখেছেন। সম্প্রতি টোকিওর কাছে কানাগাওয়া শহরে ওই ডাক কর্মীর বাড়ি থেকে প্রায় ২৪ হাজার চিঠি ও প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
৬১ বছর বয়সী ওই সাবেক ডাককর্মীর পরিচয় প্রকাশ করেনি জাপানি পুলিশ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, চিঠি বিলি করতে করতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তরুণ সহকর্মীদের চেয়ে যাতে তাকে কম দক্ষ মনে না হয় সে জন্য বাড়িতে রেখেই প্রাপককে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে রিপোর্ট করতেন।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইয়োকোহামা পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ প্রাপকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং শিগগিরই চিঠিগুলো পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
স্থানীয় পত্রিকা কিয়োদো জানিয়েছে, ডাক বিভাগের ইয়োকোহামা বিতরণ শাখায় ওই ব্যক্তি চিঠি বিলির প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছর অভ্যন্তরীণ নীরিক্ষার সময় বিপুল পরিমাণ চিঠি প্রাপকের কাছে না পৌঁছানোর বিষয়টি নজরে আসে। পরে ওই ব্যক্তি দোষ স্বীকার করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
কর্তৃপক্ষ এরপর পুলিশের কাছে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। মামলায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার চিঠি হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দেয়া হয়। তবে পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ২০০৩ সাল থেকে চিঠি জমানো শুরু করেন। পরে তার বাড়ি থেকে ২৪ হাজার চিঠি ও প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণ হলে ওই পোস্টম্যানের তিন বছরের জেল অথবা প্রায় ৫ লাখ ইয়েন (৪ হাজার ৬০০ ডলার) অর্থদণ্ড হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগস্টে একই ধরনের ঘটনায় ভারতের একজন সহকারী পোস্ট মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়। জগন্নাথ পুহান নামে ওই ব্যক্তি ২০০৪ সাল থেকে প্রায় ৬ হাজারটি চিঠি ও অন্যান্য প্যাকেট প্রাপককে পৌঁছে দেননি। পরে দেড় হাজার চিঠি উদ্ধার করা হয়। বাকিগুলো তিনি আগেই নষ্ট করে ফেলেছেন।
সূত্র: বিবিসি