ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা নন্দিতা
দাস শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রশংসা করে বলেন, ‘এ মানুষরা দেশে
আশা তৈরি করেছে।’ সম্প্রতি জয়পুর সাহিত্য উৎসবে সফরকালে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ও
জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেছেন।
নন্দিতা দাস মনে করেন, এখন
ভারতের অন্য জায়গাগুলোও শাহীনবাগে পরিণত হচ্ছে। বিক্ষোভগুলো স্বতঃস্ফূর্ত এবং কোনো
রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে জড়িত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদের (বিক্ষোভকারীদের) নেতৃত্বে
রয়েছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।’
‘তরুণরা দেশে আশা তৈরি করেছে। অন্য সব জায়গা এখন শাহীনবাগে পরিণত হচ্ছে
এবং আমি মানুষ হিসেবে মনে করি,
আমাদের এ আইনগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত’—বলেন
নন্দিতা।
তিনি যোগ করেন, ‘যারা
এখানে চার প্রজন্ম ধরে বসবাস করছেন,
তাদেরকে তারা (সরকার) ভারতীয় হিসেবে প্রমাণের জন্য জিজ্ঞাসা
করছেন। এটা খুবই দুঃখের। আমি মনে করি,
এ বিষয়ে প্রত্যেকেরই কথা বলা উচিত।’
অর্থনৈতিক মন্দা, ক্রমবর্ধমান
বেকারত্বের হার ও সিএএ-এনআরসি প্রসঙ্গে নন্দিতা দাস আরো বলেন, ‘ভারত বিশ্বজুড়ে
আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। কারণ মানুষ ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হচ্ছে।’ বেকারত্ব নিয়ে
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্ভবত ৫০ বছরে এ ধরনের বেকারত্ব দেখিনি। অর্থনীতি নিচে নেমে
যাচ্ছে। কী কী ঘটছে আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রগুলো সে বিষয়ে লিখছে।’
‘এই প্রথমবারের মতো আমরা ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত হচ্ছি। আমাদের সংবিধান
আমাদের সাম্যের অধিকার দিয়েছে। আপনি যেকোনো বর্ণ, লিঙ্গ বা ধর্মের অন্তর্গত হতে পারেন।
কিন্তু সংবিধানের আওতায় আপনি সমান। যদি আপনি সেই সাম্যে বিশ্বাস করেন, তবে
আপনি কোনো ধরনের বিভাজন দেখতে চাইবেন না’—একথা বলে নন্দিতা দাস তার বক্তব্য শেষ করেন।
সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া