দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ নারী ধনীর বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ

প্রকাশ: জানুয়ারি ২৩, ২০২০

অ্যাঙ্গোলা তথা সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকারই শীর্ষ নারী ধনী ইসাবেল দোস সান্তোস অব্যবস্থাপনা এবং তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বিপুল পরিমাণ নথিপত্রের ভিত্তিতে এই সাবেক প্রেসিডেন্ট কন্যার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে অ্যাঙ্গোলার সরকার।

অব্যবস্থাপনা এবং তহবিল আত্মসাত ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, অবৈধ বেচাকেনা, ক্ষমতার অপব্যবহার, নথি নকলের মতো অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইসাবেলের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অ্যাঙ্গোলার সরকার তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল হেলদার পিট্টা গ্রস বলেছেন, রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থা সোনাঙ্গোলের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে শোষণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েন ইসাবেল। অভিযোগগুলো সেই সময়েরই। তার কয়েকজন সহযোগীকেও প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

পিট্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অভিযুক্তরা দেশে ফিরে না আসলে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আটকের আদেশ জারি করা হবে।

জ্বালানি তেল ও হীরার মতো প্রকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অ্যাঙ্গোলা। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি। বাবা হোসে এদুয়ার্দ প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেই ইসাবেল বনে গেছেন বিলিয়নেয়ার। ইসাবেলের বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য নিয়ে ফাঁস হয়েছে সাত লাখেরও বেশি নথি। যার বেশিরভাগ ফাঁস করেছে আফ্রিকার প্ল্যাটফর্ম টু প্রটেক্ট হুইসেল-ব্লোয়ার্স। আইসিআইজের মাধ্যমে এসব তথ্য পর্তুগালের এক্সপ্রেসো পত্রিকাসহ ৩৭টি গণমাধ্যম যাচাই করেছে। দেশটির রাজধানীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে আইসিআইজে এ ঘটনার নাম দিয়েছে ‘লুয়ান্ডা লিকস’। 

যেভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট কন্যা ইসাবেল

সূত্র: বিবিসি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫