প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি

প্রকাশ: জানুয়ারি ২১, ২০২০

জামিন আদেশ দেয়ায় মহামান্য উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে বলতে চাই, বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুকে ঘিরে প্রথম আলোর সম্পাদক প্রকাশক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক এবং প্রথম আলোর অন্য চার কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তাদের বাসায় পুলিশি তল্লাশির ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

আমরা মনে করি, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যার প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে, মতিউর রহমান এবং অন্যদের জন্য যেখানে সমন জারি করাই যথেষ্ট ছিল; সেখানে সে ঘটনায় তার তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা গণমাধ্যম তথা সংবাদকর্মীদের ভীতি প্রদর্শন হয়রানির চেষ্টায় স্পষ্ট সংকেত বহন করে, বিশেষত প্রথম আলোর প্রথিতযশা সম্পাদক যখন দুর্ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। আমরা শঙ্কা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, অস্বাভাবিক দ্রুততায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং পুলিশ তত্পর হয়ে উঠেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রভৃতিসহ মানহানির মামলায় আইনগুলোর ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার বাংলাদেশ গণমাধ্যমকে একটি নিবর্তনমূলক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং গণমাধ্যমকে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও স্ব-আরোপিত নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়তে হচ্ছে। এসব তত্পরতা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে নতুন নেতিবাচক মাত্রা যোগ করবে। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি, অবস্থায় স্বাধীনভাবে সাংবিধানিক নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত ভূমিকা পালন গণমাধ্যমের জন্য উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে পড়ছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা মতিউর রহমান এবং অন্য সবাই আইনানুগ পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করছি। তাদের সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, একই সঙ্গে তারও নিশ্চয়তা দাবি করছি।

সম্পাদক পরিষদের পক্ষে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন সভাপতি মাহফুজ আনাম সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫