রাজধানী থেকে নব্য জেএমবির সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গত বছর রাজধানীর গুলিস্তান, মালিবাগ, সায়েন্স ল্যাব, খামারবাড়ি ও গাবতলীতে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় এ দুজনের সরাসরি সম্পৃক্ততার দাবি বিশেষায়িত এ সংস্থাটির। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী জামাল উদ্দিন রফিক (২৬) ও গাড়িচালক আনোয়ার হোসেন (২৫)।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার চারজনের মধ্যে তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জামাল উদ্দিন ও রফিকের কথা উল্লেখ করেছেন বলে জানান সিটিটিসির প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বছর সংঘটিত পাঁচটি হামলার ঘটনায় এর আগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন মেহেদী হাসান তামিম, ফরিদ উদ্দিন রুমি, আব্দুল্লাহ আজমীর ও মিশুক খান। তাদের মধ্যে মিশুক ছাড়া সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে পুলিশের ওপর হামলাকারী এ দলের নেতা হিসেবে জামালের নাম এসেছে।
গ্রেফতার দুজনের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে মনিরুল ইসলাম বলেন, জামাল প্রথমে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, পরে নব্য জেএমবিতে জড়ান। নিজের ভাই ফরিদ উদ্দিন রুমি ও কুয়েটের আরো দুই বন্ধুকেও তিনি দলে ভেড়ান। পুলিশের ওপর হামলার পাঁচটি ঘটনার চারটিতেই তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন। প্রকৌশলী জামাল কুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন আউট সোর্সিংয়ের চাকরি করতেন এবং নিজের জমানো টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেন।
পুলিশকে টার্গেট করার কারণ জানাতে গিয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্যই এ হামলাগুলো চালানো হয়েছিল বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানান। এ দুজনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত চক্রের ছয়জনের সবাই গ্রেফতার হলেন।