সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন

আতিকের বিরুদ্ধে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

প্রকাশ: জানুয়ারি ২১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের দুই অভিযোগের বিষয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম। গতকাল রাতে ৩৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী মোর্শেদ ২৬ নং ওয়ার্ডের মহুয়া আফরোজকে -সংক্রান্ত নির্দেশনার চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাবিথ আউয়ালের অভিযোগের বিষয়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আমরা কমিশনের চিঠি পেয়ে সে অনুযায়ী তদন্ত করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দিয়েছি।

এর আগে গতকাল তাবিথের অভিযোগের বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় ইসি। ডিএনসিসির নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমকে রোববার রাতে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কর্তৃক মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালেরনৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আমার নির্বাচনী প্রচারণারত মাইক্রোফোন ভাংচুরএবংনৌকা প্রতীকের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন’-বিষয়ক ১৩ জানুয়ারি দাখিলকৃত আবেদনের বিষয়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।তাবিথ আউয়াল তার আবেদনে কমিশনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

এদিকে ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা না নিলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না বলে তিনি মনে করেন। বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) ইউও নোট (আন-অফিশিয়াল নোট) দিয়েছেন তিনি। ইসি সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গতকাল সিইসির কাছে ইউও নোট পাঠায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সেসঙ্গে অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার এবং ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসি। আর ভোটের আগের দিন মধ্যরাত অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা যানবাহনগুলো হলো বেবি ট্যাক্সি, অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার (ব্যক্তিগত বাদে), বাস, ট্রাক, টেম্পো। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা- অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক নথিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগকে আদেশ কার্যকর করার জন্য বলেছে ইসি।

এতে আরো বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল বিভিন্ন যানবাহনের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতিসাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী বিদেশী পর্যবেক্ষক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত যানবাহন মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫