বাবার প্রতিষ্ঠানের সমালোচনায় মারডকের ছেলে

প্রকাশ: জানুয়ারি ১৭, ২০২০

বণিক বার্তা অনলাইন

অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানলের খবর প্রচারের সময় ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তথ্য বিকৃতির’ অভিযোগ তুলেছেন মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডকের ছেলে। মারডকের মালিকানাধীন গণমাধ্যমগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে ইচ্ছে করেই এড়িয়ে যাচ্ছে বলে তার অভিযোগ। খবর সিএনএন।

রুপার্ট মারডকের ছেলে জেমস মারডক ও স্ত্রী ক্যাথরিন দুজনই পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানল যে জলবায়ু পরিবর্তনেরই বিরূপ প্রভাব তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বিমত না থাকলেও নিউজ কর্পোরেশন ও ফক্সের চ্যানেলগুলো দাবানলের কারণ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই বরং মানুষই আগুন লাগিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে।  এ জন্যই বাবার প্রতিষ্ঠানের প্রতি পুত্র ও পুত্রবধূ ক্ষুব্ধ। এমনটাই জানিয়েছেন এই দম্পতির এক মুখপাত্র।  

অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক দাবানলের মূল কারণ দীর্ঘস্থায়ী খরা ও তীব্র গরম। কিন্তু এই তথ্য ছাপিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় মারডকের সংবাদপত্রে গুরুত্ব পায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুন জ্বালানোর ঘটনা।

ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে দেশটির সরকারের দায় ও জলবায়ু পরিবর্তন নীতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া দাবানল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের সম্বন্ধ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় মারডকের মালিকানাধীন সংবাদপত্রগুলো তার বক্তব্যকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দেয়। এসব পত্রিকার অধিকাংশ গত নির্বাচনে তার পক্ষে প্রচারণায় ছিল। 

জেমস মারডক পরিবারিক ব্যবসা ছাড়লেও নিউজ কর্পোরেশনের বোর্ডে আছেন। দাবানল নিয়ে আপত্তিকর সংবিাদ পরিবেশনের তিনি বাবার প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে আসছেন শুরু থেকেই। গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জেমস বলেন, ফক্সে যা দেখানো হচ্ছে তার সঙ্গে আমি  দ্বিমত পোষণ করছি। ক্যাথরিনও গত মাসে তাদের জলবায়ু কার্যক্রম নিয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে কথা বলেন।

এদিকে  রুপার্ট মারডকের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের কথা তিনি অস্বীকার করেননি। উল্টো গত সোমবার তার সংস্থা দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেয়। রুপার্ট ও তার বড় ছেলে লাক্লান মারডক এই অনুদানের অর্থ দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দাবানলে অস্ট্রেলিয়ায় ভস্মীভূত হয়েছে অগণিত গাছগাছালি, লাখ লাখ হেক্টর জমি ও ঘরবাড়ি, মারা গেছে কোটি কোটি বন্যপ্রাণি ও ২৪ জন মানুষ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫