তৈরি পোশাক শিল্পের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে শিল্পসংশ্লিষ্ট চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। আজ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীগুলোর উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে মেশিনারি, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিকস, গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ও প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মেশিনারি অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিস নিয়ে প্রদর্শনী চারটির আয়োজন করা হয়েছে। বসুন্ধরার ১০টি হলজুড়ে প্রদর্শনীগুলোয় ২৪টি দেশের ৪৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।
জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীগুলোর আয়োজন করেছে।
পোশাক শিল্পের মেশিনারি এবং এর সহায়ক পণ্যের ১৯তম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘গার্মেন্টেক বাংলাদেশ ২০২০’; ১১তম
‘ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক সোর্সিং ফেয়ার’; ১১তম
‘গ্যাপ এক্সপো-২০২০’ এবং ‘প্যাকটেক বাংলাদেশ ২০২০’ শীর্ষক প্রদর্শনী চারটি চলবে ১৫-১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবার জন্য উন্মুক্ত এসব প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
আগের আসরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলংকা, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, তাইওয়ান, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, থাইল্যান্ড, কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডা, স্পেন, ফ্রান্স ও হংকংয়ের ৪৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন, নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, দক্ষতা, পণ্যের মান, বৈচিত্র্য ও মোড়কজাত ইত্যাদি কাজে ব্যবহূত প্রযুক্তি দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরবে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। লক্ষ্য পূরণের পথে এ খাতকে উৎপাদন, নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, দক্ষতা, পণ্যের মান, বৈচিত্র্য ও মোড়কজাত সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ খাতের জন্য সহায়ক পণ্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে এ খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ উপস্থাপন করা হবে। আয়োজন করা হবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার। আশা করছি, প্রদর্শনী চারটি দেশের তৈরি পোশাক খাতের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।