মিশেল স্টার্ক-প্যাট কামিন্সের গতির ঝড় মঞ্চটা গড়ে দেয়, তার ওপর দাঁড়িয়ে ভারতকে ব্যাটিং শেখাল অ্যারন ফিঞ্চ-ডেভিড ওয়ার্নার জুটি। মুম্বাইয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ১০ উইকেটের জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অতিথিরা।
টসজয়ী অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। পাঁচ বল হাতে রেখে ২৫৫ রানেই গুঁড়িয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। জবাবে ৭৪ বল হাতে রেখে বিনা উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছায় অতিথি দল। গোটা ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের স্বস্তি বলতে ছিল ওয়ার্নারের বিপক্ষে দুটি আউটের ক্ষণিক আনন্দ; রিভিউতে যা মুহূর্তেই মিলিয়ে গেছে।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল স্বাগতিকরা। রোহিত শর্মা স্বভাববিরুদ্ধ ধীরগতির ব্যাটিংয়ে উইকেটে টিকে থাকায় মনোযোগ দেন। তার প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ে পঞ্চম ওভারে স্টার্কের স্লোয়ারে, ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এ ওপেনার। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন শিখর ধাওয়ান ও কে এল রাহুল। দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় রাহুলকে ৪৭ রানে বিদায় করে ১২১ রানের জুটি ভাঙেন অ্যাস্টন এগার। স্বল্প সময়ের মধ্যেই ধাওয়ানকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে দেন প্যাট কামিন্স। এগারের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯১ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৭৪ রান করেন ধাওয়ান।
এরপর উইকেটে আসা অধিনায়ক বিরাট কোহলির সাবলীল শুরু ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। এক বাউন্ডারিতে ১৪ বলে ১৬ রান করা স্বাগতিকদের ব্যাটিং স্তম্ভ এডাম জাম্পার হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর রিশাব পান্ত (২৮), রবিন্দ্র জাদেজা (২৫), কুলদ্বীপ যাদবের (১৭) কল্যাণে ২৫৫ রানের সাদামাটা সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিকরা। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। কামিন্স ও রিচার্ডসন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। জাম্পা ও এগার একটি করে উইকেট নেন।
২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে আক্রমণাত্মক ছিলেন ফিঞ্চ; স্বমূর্তিতে ফিরতে দেরি হয়নি ওয়ার্নারেরও। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, বেড়েছে ভারতীয় বোলারদের হতাশা। জোড়া সেঞ্চুরিতে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার পথে ফিঞ্চ-ওয়ার্নার ২৫৮ রানের জুটি গড়ে। যা ভারতের বিপক্ষে যেকোনো উইকেট জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৮ রান, ফিঞ্চ খেলেন ১১০ রানের ইনিংস।