ইউক্রেনের উড়োজাহাজে ‘ভুলক্রমে’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত, বললো ইরান

প্রকাশ: জানুয়ারি ১১, ২০২০

বণিক বার্তা অনলাইন

ইউক্রেনের যাত্রিবাহী উড়োজাহাজটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই তেহরানে ভেঙে পড়েছিল বলে স্বীকার করলো ইরান । আজ শনিবার ইরানের স্টেট টিভিতে সামরিক বাহিনী থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। যদিও শুরু থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল দেশটি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘অনিচ্ছাকৃত’ মানবিক ভুলের কারণেই এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। খবর: বিবিসি।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ স্বীকারোক্তির পরপরই নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভাদ জারিফ। তিনি লিখেছেন, একটি  ‍দুঃখের দিন। সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্তের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে: যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতার কারণে সৃষ্ট সঙ্কটকালে মানবিক ভুলের কারণেই এ বিপর্যয়টি ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার, আমাদের জনগণ এবং অন্য যেসব দেশ এর ভুক্তভোগী হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা, এর জন্য দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

গত বুধবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানের খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বোয়িং উড়োজাহাজ। আরোহীদের সবাই মারা গেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন ইরানি। উড়োজাহাজে ৮২ জন ইরানি, ১১ ইউক্রেনীয়, ১০ সুইস, ৪ আফগান, ৬৩ কানাডীয়, ৩ ব্রিটিশ এবং ৩ জন জার্মান নাগরিক ছিলেন।। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ১৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর পরপরই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তিনি বিভিন্ন সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাও হতে পারে। একই মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও তখন মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যদিও ইরান তা অস্বীকার করে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫