তেহরানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে পশ্চিমা শক্তির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। এক বিবৃতিতে তেহরানের এক মুখপাত্র বলেন, এসব অভিযোগ ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। যেসব দেশের নাগরিক এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তারা নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। বিমানের ব্ল্যাকবক্স তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি। খবর বিবিসি।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মনে করেন, ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য (এসএএম) ক্ষেপণাস্ত্র ওই উড়োজাহাজে আঘাত হেনেছে। তবে তিনি এটাও মনে করেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে ইরানের এ ভুলটা হতে পারে। কানাডীয়দের মধ্যে যে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে, তারা তার জবাব আশা করতেই পারে বলে দাবি ট্রুডোর।
শুক্রবার ডাকা সংবাদ সম্মেলনে ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থার (সিএওআই) প্রধান আলি আবেদজাদেহ বলেন, বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার এবং আমরা নিশ্চয়তার সঙ্গে বলতে পারি উড়োজাহাজটিতে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। উড়োজাহাজটি আগুনসহ দেড় মিনিট উড়েছিল এবং অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে পাইলট ফিরে আসার চেষ্টা করছিলেন।
ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (ইউআইএ) পিএস৭৫২ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলে ১৭৬ আরোহী নিহত হয়। নিহতদের ৮২ জন ইরানি, ৬৩ কানাডীয়, ১১ ইউক্রেনের, ১০ সুইডিশ, চার আফগান, তিন জার্মানির ও তিন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন।