অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তায়...

প্রকাশ: জানুয়ারি ১১, ২০২০

নির্দিষ্ট বয়সের আগে শিশুর হাতে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কিংবা তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য নয়। বাস্তবে আদৌ কী তা হয়? কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর আপনার স্মার্টফোন ডিভাইসটি হয়ে ওঠে সন্তানের খেলার সঙ্গী। ইন্টারনেট স্মার্টফোনের মতো তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য সবার জন্য অসীম তথ্যভাণ্ডার এবং বিনোদনের সীমাহীন দ্বার উন্মুক্ত করেছে। শিশুরাও এর বাইরে নেই। শিশুর মানসিক বিকাশে ইন্টারনেটের যেমন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, একইভাবে কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। তবে একটু সচেতন হলেই ইন্টারনেট কিংবা যেকোনো তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেয়া যায়। ইন্টারনেটে শিশু নিরাপত্তায় করণীয় নিয়ে আজকের আয়োজন

            নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাসায় ব্যবহূত ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাব স্মার্টফোনের মতো ইন্টারনেটসংশ্লিষ্ট ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। শিশুরা যাতে ইন্টারনেটে গেম বা পছন্দের কোনো কনটেন্ট দেখার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো সাইটে প্রবেশ করতে না পারে, যা শিশুদের মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে।

            প্রত্যেক শিশুর জন্য আলাদা লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ডের ব্যবস্থা করে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করুন। একই সঙ্গে শিশুরা যাতে অ্যাডমিন পাসওয়ার্ড জানতে না পারে, সে ব্যবস্থাও করতে হবে। এতে ইন্টারনেটে প্রত্যেক শিশুর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

            গেম কিংবা প্রজেক্টের জন্য শিশুকে কিডস ফ্রেন্ডলি ব্রাউজার ব্যবহারে উৎসাহিত করুন। সোস্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের সর্বাধিক নিরাপত্তা জোরদারে শিশুকে সহায়তা করুন। এছাড়া সোস্যাল মিডিয়ায় শুধু পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিন। ব্রাউজার থেকে পপ-আপ ব্লক করুন এবং ওয়েবক্যাম জিপিএস সিস্টেম ডিজঅ্যাবল রাখুন।

            বেশির ভাগ শিশু কম্পিউটার ব্যবহার করে সাধারণত গেম খেলা এবং ভিডিও দেখার জন্য। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট বন্ধ রাখুন। অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মধ্যে রেখে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট ব্যবহারের সুযোগ দিন এবং প্রতিদিন কম্পিউটার ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিন।

            ঘুমানোর সময় স্মার্টফোনসহ যেকোনো ধরনের ডিভাইস ব্যবহারের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন। এছাড়া ঘুমানোর সময় যাতে প্রযুক্তির অনুষঙ্গ বিছানায় নিতে না পারে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করুন। রাতের খাওয়ার পর চ্যাটিং, টেক্সটিং মেইল চেক করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং প্রতিনিয়ত একই নিয়ম অনুসরণ করুন।

            শিশুর নৈতিক অনুশীলনে গুরুত্ব দিন এবং সার্চ বারে আগের সার্চসংশ্লিষ্ট কোনো লিস্ট বা তালিকা রাখবেন না। অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তায় যৌথ চ্যাটরুম ব্যবহার করা এবং অবৈধভাবে গান মুভি ডাউনলোডে বিরত থাকার পরামর্শ দিন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে সতর্ক করুন।

            প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। শিক্ষা, বিনোদন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেটের তুলনা হয় না। তবে অবশ্যই এর ইতিবাচক দিকগুলোর বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে শিশুদের। ইন্টারনেট দুনিয়ার কোনো কনটেন্টে প্রবেশের আগে ভাবতে শেখান। যাতে সে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কোনটা ইতিবাচক আর কোনটা নয়।

            শিশুর অনলাইন কার্যক্রম নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করুন। এতে নেতিবাচক কোনো কনটেন্ট প্রদর্শিত হলে তা অনায়াসে প্রকাশ করবে শিশু। ফলে ধরনের কনটেন্টে প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন অভিভাবকরা। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫