মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল মজুদ ২৭ মাসের সর্বনিম্নে

প্রকাশ: জানুয়ারি ০৮, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়ায় পণ্যটির মজুদ কমেছে। বিদায়ী বছরের সর্বশেষ মাসে দেশটিতে উদ্ভিজ্জ তেলটির মজুদ কমে গত ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে ঠেকেছে। সময় দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদনও নিম্নমুখী থাকতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।

রয়টার্সের একটি জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ কমে ২০ লাখ ৬০ হাজার টনে নেমেছে, যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৫১ শতাংশ কম। একই সঙ্গে মজুদের পরিমাণ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন সহসাই অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষণ নেই। কুয়ালালামপুরভিত্তিক ফিলিপ ফিউচার্সের ইনস্টিটিউশনাল সেলস ম্যানেজার মার্সেলো কাল্ট্রিরা জানান, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকজুড়ে (জানুয়ারি-মার্চ) ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ার জন্য প্রধান সমস্যার বিষয় হবে পাম অয়েলের মজুদ কমে আসা।

এদিকে ডিসেম্বরে দেশটিতে ভোজ্যতেলটির উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১৩ লাখ ৪০ হাজার টনে, যা আগের মাসের তুলনায় ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। চলতি মাসে দেশটিতে প্রবল বর্ষণ আকস্মিক বন্যায় আগামীতে পণ্যটির উৎপাদন আরো কমতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

মূলত ২০১৯ সালজুড়ে মালয়েশিয়ায় শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করেছে। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত সার ব্যবহারে দেশটিতে পামের ফলন কমেছে। একই সঙ্গে উৎপাদিত পামের মান কমে তেল উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে বিশ্বে ভোজ্যতেলের শীর্ষ ভোক্তা দেশ ভারত বছর পণ্যটির আমদানি আরো বাড়াতে পারে। গত বছর দেশটি রেকর্ড পাম অয়েল আমদানি করেছে। তবে ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া কর্তৃক গৃহীত বায়োডিজেল উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বছর দুই দেশ থেকেই পাম অয়েলের রফতানি কমবে। সব মিলিয়ে এবার বিশ্ববাজারে পণ্যটির সংকট তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে পণ্যটির বাজার। সম্প্রতি পাম অয়েলের দাম বেড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছে যায়।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫