মালয়েশিয়া থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম অয়েলে আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে ভারত। ফলে রফতানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেলের বাজারে সুদিন ফিরছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের। খবর নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।
গত বছর ভারতের পাম অয়েলের বাজারে খুব বেশি ভালো অবস্থান করতে পারেনি মালয়েশিয়া। কারণ দেশটি থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম অয়েলের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ায় ভারত। পাশাপাশি মালয়েশিয়ার পরিবর্তে শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি বাড়ান ভারতের ব্যবসায়ীরা, যা মালয়েশিয়ার উৎপাদন ও মজুদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। কিন্তু সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর উভয় প্রকার পাম অয়েলের শুল্ক কমিয়েছে ভারত।
এর মধ্যে পরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানি শুল্ক ৫০ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে ভারত। অপরিশোধিত পাম অয়েলের (সিপিও) শুল্ক ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভারতের বাজারে রফতানি বাড়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের মজুদ কমে আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভোজ্যতেলটির দাম বাড়ারও প্রত্যাশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
মালয়েশিয়ার পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের বিশ্লেষক চং হোহে লিয়ং বলেন, ভারতের সংশোধিত শুল্কের ফলে দেশটির বাজারে আসন্ন মাসগুলোয় মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি বাড়বে। এছাড়া দেশটির পাম অয়েলের মজুদ কমে আসার পাশাপাশি সিপিওর দাম আরো বাড়াতেও ভারতের এ উদ্যোগ সহায়তা করবে।
মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের সবচেয়ে বড় বাজার ধরা হয় ভারতকে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া থেকে ৪৩ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করেছে ভারত, যা মালয়েশিয়ার মোট পাম অয়েল রফতানির ২৫ শতাংশ।