এ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম চমক উলভারহ্যাম্পটন। নুনো এস্পিরিতো সান্তোর এ দলটি চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে এ মৌসুমে দুই লেগেই হারানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছে। তাদের অ্যানফিল্ড আগমন তাই কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রেখেছিল লিভারপুলকে। বিশেষ করে দলটির হার না মানা প্রত্যয় যেকোনো দলের জন্য হুমকি হতে পারে। লিভারপুলের জন্যও হয়েছিল। শেষ মিনিট পর্যন্ত দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গেল উলভস। কিন্তু লিভারপুলের ভাগ্য যেন এবার স্বয়ং ফুটবল ঈশ্বরের হাতে লেখা। রেফারির না দেয়া গোল উপহার দিল ভার (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)। বিপরীতে হজম করা গোল বাতিল হলো সেই ভারেই। ফল—নড়বড়ে পারফরম্যান্সের পরও শেষ হাসি লিভারপুলেরই। ১-০ গোলের জয় ইয়ুর্গেন ক্লোপের দলকে শিরোপার পথে এক কদম এগিয়ে দিল। একই রাতে নিজেদের মাঠে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিও। তবে শেফিল্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় নিয়েও লিভারপুলের চেয়ে সিটি পিছিয়ে ১৪ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে, তাও আবার এক ম্যাচ বেশি খেলে।
অ্যানফিল্ডে এদিন শুরুটা দারুণ ছিল লিভারপুলের। সংঘবদ্ধ আক্রমণে গিয়ে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করে তারা। কিন্তু গোলমুখে গিয়ে বারবার হাতছাড়া হচ্ছিল সুযোগ। এর মাঝে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণনির্ভর ফুটবল শুরু করে উলভসও। কয়েকবার গোলের কাছাকাছিও যায় তারা, কিন্তু জমাট লিভারপুলের ডিফেন্স ভেঙে গোল আদায় করা সম্ভব হচ্ছিল না। এর মাঝে ৪২ মিনিটে ঠিকই উলভসের জালে বল প্রবেশ করায় ‘অল রেড’রা। ভার্জিল ফন ডাইকের লম্বা করে বাড়ানো বল অ্যাডাম লালানার কাঁধ ছুঁয়ে চলে যায় অরক্ষিত সাদিও মানের কাছে। দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান মানে। শুরুতে অবশ্য হ্যান্ডবলের ইশারা দিয়ে গোল দেননি রেফারি। তবে লিভারপুলের আবেদনে ভারের সাহায্য নেন তিনি। যেখানে দেখা যায় বল হাত নয়, ছুঁয়েছিল লালানার কাঁধ। উলভস খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখেই উদযাপনে মাতে লিভারপুল।
বিরতির আগেই লিভারপুলকে গোল ফিরিয়ে দিয়েছিল উলভস। কিন্তু পেত্রো নেতোর সেই গোলের ন্যায্যতা দেখতে অনফিল্ড রেফারি শরণাপন্ন হন ভারের। শেষ পর্যন্ত বিতর্কিতভাবে গোলটি বাতিলও করা হয়। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কার্ডও দেখতে হয়েছে উলভস কোচকে।
লিগে ঘরের মাঠে টানা ১৭ ম্যাচে জয় পেল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে এ নিয়ে ৫০ ম্যাচ অপরাজিত তারা—৪০ জয়, ১০ ড্র; যা প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে