এখনো অর্থমন্ত্রীর ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই

প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

মো. ছায়েদুর রহমান, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)

১৯৯১ সাল থেকেই দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বিএমবিএর সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউজ ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাছাড়া তিনি ইবিএল ইনভেস্টমেন্টের পরিচালক পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও একজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বীমা, ব্যাংক, লিজিং, ব্রোকারেজ হাউজ মার্চেন্ট ব্যাংকে ৩৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার সম্প্রতি তিনি দেশের পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান রাহাত

১৯৯৬  ২০১০ সালের ধসের পর বছরই সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত করছে দেশের পুঁজিবাজার। আপনি অনেক দিন থেকেই বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সাম্প্রতিক এই দরপতনের বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

দেখুন ১৯৯৬ সালের সঙ্গে ২০১০ সালের কিংবা বর্তমান বাজারের অনেক পার্থক্য রয়েছে। সে সময় আমাদের পুঁজিবাজার তেমন একটা স্ট্রাকচারড ছিল না। অন্যদিকে ২০১০ সালে যেটা হয়েছে তখন বিভিন্ন কারণে বাজারে তারল্য সরবরাহ বেড়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের অর্থনীতির গতিধারায় একটি পরিবর্তন আসে। কারণ এর আগে অনেক দিন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। ফলে নতুন সরকার আসার কারণে সবাই একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রত্যাশা করছিল। তাছাড়া সে সময় সুদের হার অনেক কম ছিল। কলমানি মার্কেটের সুদের হারও কম ছিল। সরকারের ধারের পরিমাণও ছিল ঋণাত্মক অর্থাৎ বাজারে অতিরিক্ত তারল্য ছিল। ব্যাংকগুলো তখন তাদের মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত। পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সে সময় পুঁজিবাজারে বড় আকারে বিনিয়োগ ছিল। ফলে অনেকগুলো ইতিবাচক বিষয় একসঙ্গে হওয়ার কারণে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে একটি বাবল তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে যা ব্রাস্ট হওয়ার মাধ্যমে বাজারে পতন ঘটে। এর পর থেকেই কিন্তু পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া শুরু হলো। নিয়ন্ত্রণ আগেও ছিল, কিন্তু সেটি আরো কার্যকর করতে সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের আইনি কাঠামোগত সংস্কার করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের পর পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা অনেক কমে যায়। যেখানে আগে ব্যাংকগুলো তাদের মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত, আইন সংশোধনের পর সেটি হয়ে গেল রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২৫ শতাংশ। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১০ সালে যেখানে একটি ব্যাংক পুঁজিবাজারে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারত, বর্তমানে তা ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। আমাদের বাজারের ইন্টারমিডিয়ারিজ যারা রয়েছে, তাদের কিন্তু নিজেদের বিনিয়োগ করার খুব বেশি সক্ষমতা নেই। এর ফলে এই যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে, সেটি কিন্তু পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তারপর ২০১৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক একটি প্রবণতা দেখা যায়। পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করার শেষ সময়সীমা ছিল ২০১৬ সালের ২১ জুলাই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির একটি চমত্কার সমাধান আসে। তারপর থেকেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। যেটি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসে নির্বাচনের জাতীয় নির্বাচনের কারণে মন্থর হয়ে পড়ে। বিশ্বের সব দেশেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারে একটা প্রভাব পড়ে। নির্বাচনের পর বছরের জানুয়ারি থেকে বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসে। তবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে সূচক আবার পড়তে থাকে, যা এখন পর্যন্ত চলছে। এর বেশ কতগুলো কারণ রয়েছে। একটি হচ্ছে আমাদের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ কিন্তু কমে আসছে। গ্রামীণফোনের সঙ্গে বিটিআরসির দ্বন্দ্বের কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তাদের কাছে থাকা টেলিকম কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে থাকে। সাম্প্রতিক দরপতনে এটি বড় ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া মুদ্রার অব??


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫