ভারতের সিএএ মুসলিমদের ওপর প্রভাব ফেলবে : মার্কিন প্রতিবেদন

প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের ২০ কোটি মুসলিম নাগরিকের সার্বিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে। মার্কিন কংগ্রেসের থিংকট্যাংক ‘কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)’-এর এক প্রতিদবেদনে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ।

ভারতের নতুন আইন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস বলেছেন, ‘সিএএ-র মতো সামাজিক ইস্যুগুলো যে শুধুই মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের আন্তরিকতাকে ক্ষুণ্ণ করবে, তা নয়; ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার দেশগুলিতে আমরা (আমেরিকা) যে মুক্ত ও অবাধ স্বাধীনতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছি, সেই প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার পথ থেকেও ভারতকে দূরে সরিয়ে দেবে।’

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ভারত শুধুই বিদেশী আগ্রাসনকারীদের হাতে লুণ্ঠিত হয়েছে, এভাবেই সে দেশের ইতিহাসটাকে ব্যাখ্যা করতে চাইছেন হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা। শুধু এভাবেই বিষয়টিকে তারা দেখছেন, দেখাতে চাইছেন। তার ফলে, তারা আধুনিক ভারতের দুই প্রতিষ্ঠাতা জওহরলাল নেহরু ও মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর দর্মনিরপেক্ষতার ভাবাদর্শকেও বাতিল করে দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বহু বিশেষজ্ঞের ধারণা, দেশের উত্তরোত্তর ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি থেকে মানুষের নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাজনৈতিক সমর্থন ধরে রাখতে বিজেপি সরকার এখন আবেগের উপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে। হাতিয়ার করছে ধর্মকে।’

প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্ট না হলেও সিআরএস-এর এই রিপোর্ট বানানো হয়েছে কংগ্রেস সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মতামতের ভিত্তিতেই।

১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভ-সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, সংশোধিত এই আইন মুসলিমবিরোধী এবং তা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের ওপর কুঠারাঘাতের শামিল।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ও টাইমস অব ইন্ডিয়া


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫