ইউএসডিএর পূর্বাভাস

ভারতে চীনাবাদামের উৎপাদন বাড়বে ৩১%

প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড এগ্রিকালচার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর শেষে ভারতে সব মিলিয়ে ৬২ লাখ টন চীনাবাদাম উৎপাদিত হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। খবর কমোডিটি অনলাইন।

ভারতের প্রধান চীনাবাদাম উৎপাদনকারী অঞ্চল গুজরাট রাজ্যের কুঁচ জেলা। অঞ্চলে এবার কৃষিপণ্যটি উৎপাদনের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে বাড়তি ফলনের জেরে দেশটিতে সামগ্রিকভাবে চীনাবাদামের উৎপাদন বাড়বে। ভারতে উৎপাদিত মোট চীনাবাদামের ৪৭ শতাংশই উৎপাদিত হয় গুজরাটে। এর মধ্যে আবার অর্ধেকের বেশি উৎপাদিত কয় কুঁচ জেলায়।

ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে এবার চীনাবাদামের আবাদ কমে আসতে পারে। তবে ফলন বাড়ায় তেলবীজটির সামগ্রিক উৎপাদন চাঙ্গা থাকতে পারে। এবার দেশটির ৪৭ লাখ হেক্টরজুড়ে পণ্যটির আবাদ হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় শতাংশের মতো কম। এদিকে হেক্টরপ্রতি ফলন বেড়ে দাঁড়াতে পারে দশমিক ৩২ টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি।

ভারতে উৎপাদিত মোট তেলবীজের মধ্যে চীনাবাদামের হিস্যা এক-চতুর্থাংশ। প্রতি বছর দেশটিতে দুটি পর্যায়ে কৃষিপণ্যটির আবাদ হয়খরিফ রবি শস্য। দেশটিতে উৎপাদিত মোট চীনাবাদামের ৮৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় খরিফ মৌসুমে, যা সাধারণত জুনের শেষ দিকে আবাদ হয় সংগ্রহ করা হয় অক্টোবরে। রবি শস্য চাষাবাদ শুরু হয় অক্টোবরের শেষ থেকে জানুয়ারির মধ্যে সংগ্রহ করা হয় এপ্রিলে।

ভারতে এবার দেরিতে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় খরিফ শস্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে দেশটি ২৫ বছরের রেকর্ডকে টপকে গেছে, যা রবি শস্যের জন্য সুখবর বয়ে এনেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের জেরে মৌসুমে অন্যান্য কৃষিপণ্যের সঙ্গে চীনাবাদামেরও বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন দেশটির কৃষকরা, যা সামগ্রিকভাবে এবার বছরের উৎপাদন বাড়াতে প্রভাব ফেলবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫