দ্য গার্ডিয়ান ২০১৯ সালের সেরা ছবির নাম ঘোষণা করেছে। ছবিটি মার্টিন স্করসেসে পরিচালিত এবং রবার্ট ডি নিরো ও আল পাচিনো অভিনীত দি আইরিশম্যান। গার্ডিয়ান-এর পক্ষে বছরের সেরা ছবির পরিচালকের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন অ্যান্ড্রু পালভার। এ সাক্ষাত্কারে মার্টিন স্করসেসে কথা বলেছেন তার ছবি, নেটফ্লিক্স এবং কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজারি বা সিজিআই প্রযুক্তি নিয়ে
দি আইরিশম্যানকে
গার্ডিয়ান ২০১৯
সালের সেরা
ছবি হিসেবে
ঘোষণা করেছে...
আপনাকে অভিনন্দন!
ধন্যবাদ। আমি সম্মানিত।
দি আইরিশম্যান
নেটফ্লিক্সে বড়
সাফল্য পাবে
কিংবা ছবিটি
বাকি সিনেমা
ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে
প্রতিযোগিতা করবে,
এমনটা কি
অনুমান করতে
পেরেছিলেন?
নেটফ্লিক্সের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হওয়ার সময়ই আমি এর অর্থ বুঝতে পেরেছিলাম। আমরা জানতাম ছবিটা প্রাথমিকভাবে স্ট্রিমিং সাইটে দেখা গেলেও পরে হলেও প্রদর্শিত হবে। সে সময় ছবিটা নির্মাণের জন্য আমাদের টাকা-পয়সার প্রয়োজন ছিল। আর সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার ছিল, সেটা হলো সৃষ্টির স্বাধীনতা। আমাদের পক্ষ থেকে শর্ত ছিল—ছবিটা অন্তত এক সপ্তাহ সিনেমা হলে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ শর্ত গৃহীত হয়েছিল। আমার মূল চিন্তা ছিল একাডেমি কর্তৃপক্ষকে নিয়ে, তারা ব্যাপারটা গ্রহণ করলে অভিনেতারাও রাজি থাকবেন। মূল বিষয়টা হলো ছবি বানানো এবং এ রকম ছবি প্রদর্শন ও দেখার জন্য নতুন দুনিয়ার রীতিকে স্বাগত জানানো।
দি আইরিশম্যান মুক্তি পেয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু ছবিটির সঙ্গে দর্শকরা খুব একাত্মতা বোধ করেছেন, কেন?
এ প্রশ্নের কোনো নিশ্চিত উত্তর আমি আপনাকে দিতে পারব না। ছবির নির্মাণ প্রক্রিয়াটি ভূমিকা রেখেছে। নেটফ্লিক্স আমাদের আর্থিক ও ক্রিয়েটিভ সাপোর্ট দিয়েছে। শুরুতে সবাই ভেবেছিল আমরা কয়েকজন পুরনো বন্ধু একসঙ্গে হয়ে হাসি-তামাশা করছি। কিন্তু আপনি জানেন, আমরা আমাদের জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছে গেছি। আমরা আমাদের সেরা কাজটিই করার চেষ্টা করেছি। ছবিটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারলে, সেটা দারুণ ব্যাপার হবে।
নেটফ্লিক্সের কারণে আমরা নতুন নতুন বিষয়ে নিরীক্ষা করতে পারছি—ন্যারেটিভ স্টাইল, ভিজুয়াল স্টাইল এবং ছবির দৈর্ঘ্য। এটা এক বৈপ্লবিক পরিস্থিতি, আমরা জানি না ছবিগুলো এখন কোথায় দেখা হবে। ছবি দেখার প্লাটফর্ম এখন আর একটি নয়। আমরা যখন বেড়ে উঠেছি, তখন ছবি দেখার জায়গায় ছিল একটিই। তারপর এল ১২ বা ১৬ ইঞ্চির সাদা-কালো টেলিভিশন। ডেভিড লিনের ছবি, দ্য থার্ড
ম্যান, সিটিজেন কেন আমি টেলিভিশনেই দেখেছি। ছবিগুলো হলে দেখাটা অসাধারণ ব্যাপার।
এরপর কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজারি বা সিজিআই প্রযুক্তি আসার পর মেকআপের ব্যাপারটা বদলে গেল। এটাও একটা বিরাট নিরীক্ষা। আমরা জানতাম না এটা কতটা কাজ করবে।
দি আইরিশম্যান-এর
অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে
সবাই বিস্মিত
হয়েছেন। একই
পর্দায় জো
পেসকি, রবার্ট
ডি নিরো
ও আল
পাচিনো!
বব (