শীত মৌসুমে পাম অয়েল জমাট বাঁধতে শুরু করলে সয়াবিন তেলের চাহিদা বাড়ে। এতে বেড়ে যায় ভোগ্যপণ্যটির দামও। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েক মাস আগে মিলগেটে যে তেল প্রতি মণ ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে ৩ হাজার ১৫০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। পাইকারিতে বৃদ্ধির ফলে খুচরা বাজারে আরো চড়া হয়েছে পণ্যটির দাম। মিলগেটের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মোড়কজাত সয়াবিন।
বর্তমানে প্রতি মণ ৩ হাজার ১৫০ টাকা হিসেবে মিলগেটে লিটারপ্রতি সয়াবিনের দাম পড়ে ৭৮ টাকা ৭৫ পয়সা। এর মধ্যে শুল্ক, পরিশোধন, এলসি ও পরিবহন খরচ এবং শ্রমমূল্য যুক্ত থাকে। সঙ্গে যুক্ত হয় আমদানিকারক কোম্পানির মুনাফাও। মিলগুলোয় পরিশোধিত এ সয়াবিন মোড়কজাত করে পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের কমিশনসহ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১১০ টাকা। অর্থাৎ মিলগেট ও খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য প্রায় ৪০ শতাংশ বা প্রতি লিটারে ৩১ টাকা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল প্লাস্টিক বোতলে মোড়কজাত করতে গড়ে সর্বোচ্চ ১২ টাকা খরচ হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতার কমিশন ১২ টাকা। সে হিসেবে মোড়কজাতে অতিরিক্ত ৭ টাকা মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো।
আন্তর্জাতিক ও বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে ইনভয়েস মূল্য বেশি দেখিয়ে কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিনে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোড়কজাতকারী কোম্পানিগুলোর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি এক লিটার সয়াবিন বোতলজাত করতে ১২ টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে বোতল খরচ, লেভেলিং, প্যাকেজিং, হ্যান্ডলিং, কার্টনিং, শ্রমিক ও পরিবেশক পর্যায়ে পরিবহন খরচ সংযুক্ত থাকে। একইভাবে দুই লিটার সয়াবিনে সমানুপাত কিংবা তার চেয়েও কম খরচ হয়। বোতলের আকার বড় হলে প্রতি লিটার হিসাবের চেয়েও কম খরচ হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলো বাড়তি খরচ যুক্ত করে দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নিচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
মিলগেটের সঙ্গে খুচরা বাজারে দামের এত পার্থক্য কেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সয়াবিন বোতলজাতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বণিক বার্তাকে বলেন, খোলা সয়াবিনের সঙ্গে বোতলজাত সয়াবিনের গুণগত মানে পার্থক্য থাকে। বিএসটিআইসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার নির্ধারিত মানে সয়াবিন বোতলজাত করতে হয়। প্রতি লিটার সয়াবিন বোতলজাত করতে ১২