পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা বীমা
কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ
কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। ১৮টি জীবন
বীমা ও ৯টি সাধারণ বীমা কোম্পানির প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আইডিআরএ সূত্রে
জানা যায়, ডিসেম্বরের মধ্যে বীমা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির আবেদন প্রক্রিয়া
সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির
কাজ শেষ হবে। এরপর তালিকাভুক্তির আবেদন করতে কোম্পানিগুলোর অন্তত তিন মাস সময়ের প্রয়োজন হবে। আগামী বছরের এপ্রিলে কিছু কোম্পানি তালিকাভুক্তির
জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে
আবেদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত
সেপ্টেম্বরে বীমাসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা বীমা কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য তিন মাস সময় বেঁধে দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম
মুস্তফা কামাল। তিন মাসের মধ্যে তালিকাভুক্ত না হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও
জানিয়েছিলেন তিনি। অর্থমন্ত্রীর এ নির্দেশের পরও বীমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে
আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। বেঁধে দেয়া তিন মাস সময় পার হওয়ার পরও তালিকাভুক্তির
আবেদন করেছে মাত্র দুটি কোম্পানি।
বীমা খাতের কোম্পানিগুলোকে অনুমোদন
পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হয়। কিন্তু তিন বছর সময়সীমা
পার হওয়ার পরও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি ২৮টি বীমা কোম্পানি। এর মধ্যে পুরনো
কোম্পানি ১৩টি ও নতুন ১৫টি। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশের পর যে দুটি কোম্পানি
তালিকাভুক্তির আবেদন করেছে সেগুলো হচ্ছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
দেশে সব মিলিয়ে বীমা কোম্পানির সংখ্যা
৭৮টি। এর মধ্যে সরকারি বীমা কোম্পানি রয়েছে দুটি—জীবন বীমা করপোরেশন ও সাধারণ বীমা
করপোরেশন। বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে জীবন বীমা ৩১টি এবং সাধারণ বীমা
কোম্পানি ৪৫টি। এসব কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪৭টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।