ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা-ভাঙ্চুর

প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯

বণিক বার্তা অনলাইন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের আয়োজনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলাসহ সভার চেয়ার, টেবিল ও স্টেজ ভাঙচুর করেছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ ভবন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই খালি প্যান্ডেলে ঘটনা ঘটায় কেউ হতাহত হননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ১১টায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শফিকুল আলম। সভার সভাপতি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াব আসলাম হাবীব। সকাল পৌনে ৯টার দিকে মুখে কাপড় বাঁধা ৮-১০ জন যুবক সভাস্থলে হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল ও স্টেজ ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ জয় বাংলা লেখা সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।

তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলে।

হামলার ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ করেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা।  ঘটনার পর সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করেন। এ সময় নাসিরনগর থেকে সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা যুগেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ থেকে নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। তাই আমরা দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসেছি। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। তারা অপশক্তি।’ তিনি এ ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আসলাম হাবিব বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসী হামলা। তারা জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শফিকুল আলম এমএসসি এ ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষকে দায়ী করে বলেন, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। এটি জেলা পরিষদ আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠান। এ ঘটনায় জেলা পরিষদ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫