চীনে চাল রফতানি নিয়ে শঙ্কায় কম্বোডিয়া

প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার চালের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। গত বছর দেশটির বাজারে তিন লাখ টন চাল রফতানির কোটা ছিল কম্বোডিয়ার। তবে সে কোটা চলতি বছরের শেষ সময়ে এসেও পূর্ণ করতে পারেনি দেশটি। উপরন্তু চলতি বছরের চার লাখ টন চাল রফতানির প্রাথমিক আলোচনা হলেও সেটির ক্রয়াদেশের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় চালের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীনের বাজার হারানোর আশঙ্কা করছেন কম্বোডিয়ার ব্যবসায়ীরা। খবর খামের টাইমস।

কম্বোডিয়ার রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আরডিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাউ থাক বলেন, এখন পর্যন্ত ২০১৯ সালের জন্য চীন থেকে কোনো ক্রয়াদেশ আসেনি। চীন কম্বোডিয়া থেকে চাল কিনবে কিনা, সে বিষয়টিও এখনো স্পষ্ট নয়। মনে হচ্ছে তারা কম্বোডিয়া থেকে চাল কিনবে না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

চীনের চালের বাজার হারানোর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে কাউ থাক বলেন, আমরা উদ্বেগে আছি যে, ২০১৮ সালের কোটা পূর্ণ হয়ে গেলে দেশটি হয়তো আর নতুন কোনো ক্রয়াদেশ দেবে না। ফলে দেশটির বাজারে চাল বিক্রি করা কম্বোডিয়ার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

কম্বোডিয়া থেকে ২০১৮ সালে তিন লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি করেছিলেন চীনের ব্যবসায়ীরা। তবে সে চালও এখনো পুরোপুরি সরবরাহ শেষ হয়নি। গত বছরে দেশটির বাজারে ১ লাখ ৭০ হাজার টন চাল রফতানি করা হয়। এরই মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেইজিংয়ে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মধ্যকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় চলতি বছরে কম্বোডিয়া থেকে চার লাখ টন চাল ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দেন জিন পিং।

কম্বোডিয়া রাইস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব লু ইয়ং বলেন, গত মাস পর্যন্ত চীনের বাজারে গত বছরের কোটার চাল রফতানি করা হয়েছে। চলতি বছরের কোটা শুরুর আগে গত বছরের কোটার চাল সরবরাহ করা হবে।

এ মাসেই চলতি বছরের কোটার চাল রফতানি শেষ করা সম্ভব হবে বলেও জানান লু ইয়ং। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের কোটার চাল  সরবরাহ প্রায় শেষের পথে। চলতি মাসেই এ চাল সরবরাহ শেষ করে এ বছরের কোটার রফতানি শুরু করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চলতি বছরের কোটা নিয়েও শংসয় প্রকাশ করেছেন লু ইয়ং। তিনি বলেন, এ বছরের কোটার চাল সরবরাহের আগে চীনকে গত বছরের কোটা পূর্ণ করতে হবে। যেহেতু চলতি বছরের জন্য চীনের সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো চুক্তি নেই। সে কারণে চাল কিনতে চাইলে তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, তখন দাম নির্ধারণ করে রফতানি করা হবে।

তবে চলতি বছরের কোটার জন্য কম্বোডিয়া গত ৫ নভেম্বর ১ লাখ ২৫ হাজার টন চাল ক্রয়ের একটি চুক্তি করেছে চীনের সঙ্গে। যে কারণে ২০১৯-২০ সময়ের মধ্যে আর কোনো চুক্তি না হলেও অন্তত এ চাল সরবরাহ করতে পারবে কম্বোডিয়া।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫