চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস-দেওয়ানহাট ওভারপাসটি নির্মাণ করা হয় স্বাধীনতার আগেই। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জোড়াতালি দেয়া মেয়াদোত্তীর্ণ এ ওভারপাস হয়ে যান চলাচল করছে কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত নগরীর প্রধান সড়কে। একই অবস্থা এ সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় অবস্থিত ওভারপাস কাম সেতুটিরও। ভবিষ্যতে এই দুই ওভারপাস ও সেতুর কারণে নগরীতে যানবাহন চলাচল বড় বাধার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। ঝুঁকির কথা জেনেও এ সমস্যা সমাধান উদ্যোগী নয় নির্মাণ ও তদারকির দায়িত্বে থাকা দপ্তরগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটিকে নগরীর প্রধান সড়ক হিসেবে ধরা হয়। স্বাধীনতার আগেই রেলওয়ে এ সড়কের মাঝামাঝিতে দেওয়ানহাট থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত একটি ওভারপাস নির্মাণ করে। এ ওভারপাসটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অন্তত ১০ বছর আগে। এ কারণে ওভারপাসটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কার্পেটিং করেও এসব ফাটল ঢাকতে পারছে না তদারকির দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এমনকি ভারী যানবাহন চলাচলের সময় এটি কেঁপে ওঠে।
মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় নগরীর কাস্টমস মোড়ের পরে কর্ণফুলী খালের ওপর সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় রেলওয়ের নির্মিত ওভারপাস কাম সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে যান চলাচল করে বেশ ধীরগতিতে।
সূত্র জানায়, টাইগারপাস-দেওয়ানহাট ওভারপাস ও কাস্টমস মোড়ের সেতুর অবস্থান চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দরের মধ্যে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) এক সমীক্ষা অনুযায়ী, কালুরঘাট-পতেঙ্গা সড়কের এ অংশে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৬৩ হাজার গাড়ি চলাচল করে। ২০৩০ সাল নাগাদ এই অংশে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৪ হাজার, যা ২০৪৯ সালে হবে ২ লাখ ২৯ হাজার। গাড়ির চাপ বাড়ার কারণে নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করেছে সিডিএ। তবে এতে টাইগারপাস-দেওয়ানহাট ওভারপাস ও কাস্টমস মোড়ের সেতুর বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।
নগর পরিকল্পনাবিদরা জানান, টাইগারপাস-দেওয়ানহাট ওভারপাস ও কাস্টমস মোড়ের সেতু দিয়েই মূলত