চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখনই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলামের (পাঠ্যক্রম) প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজনের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পদ্ধতিগত সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) ও আইইওএম সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনীতে বক্তারা এ কথা বলেন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজমেন্ট (আইএমইওএম) বিষয়ক আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইএমের পরিচালক (প্রশাসন) ইঞ্জিনিয়ার আলী আক্কাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন কানাডার নিউ ব্রান্সউইক ফ্রেডেরিকটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম এবং ইসলামী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউটি) মেকানিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইওএম সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রধান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল।
এ সময় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করতে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান বিআইএমের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ও সম্মেলনের সহ-আয়োজক অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ।
সম্মেলনে ১৮টি সেশনে ৬০টির অধিক গবেষণা উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান সংখ্যক তিনটি এবং কানাডার রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়, আইইউটি, মিলিটারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের (এমআইএসটি) ও বাংলাদেশ আই হসপিটালের একটি করে মোট ১০টি সেরা গবেষণাকে সনদ দেয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ। সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় উপস্থাপনা প্রতিযোগিতার। এতে আইইউটি প্রথম এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্মেলন বক্তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ করণীয় কী হবে, সে ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের জন্য কিছু সুপারিশমালা তুলে ধরেন। কল-কারখানায় সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও উপকরণের ব্যবহার বাড়িয়ে আধুনিকায়নের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তারা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালগুলোয় সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে কারিকুলামের পরিমার্জন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত সংস্কারে জোর দিতে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেন বক্তারা।
আয়োজকরা আশা করছেন, এ ধরনের আয়োজন দেশে টেকসই শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে। সে লক্ষ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী বছর চট্টগ্রামে এ